প্রতিবেদন : শনিবার বিদ্রোহ করে গণইস্তফা দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বটকৃষ্ণ দাস, জয়দেব দাস-সহ বহু আদি বিজেপির নেতা-কর্মী। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নন্দীগ্রামে (Nandigram- BJP) সৌজন্যের সংস্কৃতির নজির সৃষ্টি করলেন সেখানকার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। রবিবার নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ ও তাঁর সহকর্মী অন্যান্য তৃণমূল নেতা-কর্মীরা গোকুলনগরে জয়দেব দাসের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। এই ঘটনাকে অবিশ্বাস্য বলে সদ্য দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া জয়দেব দাস বলেন, নন্দীগ্রামে সৌজন্যের রাজনীতির নতুন উদাহরণ ও সংস্কৃতি তৈরি করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এর আগে এরকমটা নন্দীগ্রাম (Nandigram-BJP) দেখেনি। এদিন বটকৃষ্ণ দাসের বাড়িতেও যান বাপ্পাদিত্যরা। আচমকাই তাঁর পিতৃবিয়োগের খবর পেয়ে তাঁকে সান্ত্বনা দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই দুঃসময়ে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্ব ও তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার বটকৃষ্ণ ও জয়দেবদের পাশে আছে এই বার্তাই এদিন তাঁরা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লাইসেন্স বাতিল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের
রবিবার সকালে গোকুলনগরে জয়দেব দাসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের সভাপতি বাপ্পাদিত্য সহ অন্য নেতারা। এখানে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি বলেই দু’জনে জানিয়েছেন। বাপ্পাদিত্য বলেন, নিতান্ত মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই জয়দেবের বাড়িতে তাঁকে আগাম না জানিয়েই এসেছি। ওঁরা রাজনীতি করবেন কি না বা করলে কোন দল করবেন সেসব পরের ব্যাপার। ওঁদের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও এখন জয়দেব-বটকৃষ্ণ এবং ওঁদের সহকর্মীরা একটা দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তাই মানবিকতার খাতিরেই ওঁদের পাশে থাকতে এসেছি। জয়দেব দাস বলেন, এই ঘটনায় আমি ও আমার সহকর্মীরা আপ্লুত। এ জিনিস কখনও নন্দীগ্রাম দেখেনি। ওঁরা যে রাজনৈতিক সৌজন্য ও শিষ্টাচার দেখালেন তা অভাবনীয়। নন্দীগ্রামে এই রাজনৈতিক সংস্কৃতির এই মুহূর্তে বড় অভাব। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এখনও ঠিক করিনি ভবিষ্যতে কী করব। তবে বিজেপির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত দলের কোনও নেতা (জেলা-রাজ্য) কেউ যোগাযোগ করেননি। এখন ফ্রেশ মুডে আছি। পরে সিদ্ধান্ত নেব কী করব। আদৌ রাজনীতি করব কি না তাও ভাবব।