সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ইস্তফা দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরই দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ। বুধবার ৩০ ঘণ্টা পর বাংলাদেশ ভবন থেকে পদত্যাগী কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল, জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ, অশোক মাহাত প্রমুখ বেরিয়ে আসেন। তারপরই জনসংযোগ আধিকারিক পদত্যাগ করেন। জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীতে বর্তমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। সেই তালিকা ক্রমশ বাড়তে থাকবে বুধবার রাতের মধ্যে। দুই, আন্দোলনকারী লিখিত আবেদনে আহ্বান জানাবে বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মসমিতি বা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যদের কাছে। তারপর ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় প্রধানকে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ছাত্রছাত্রীদের রক্ষা করুন না হলে পদত্যাগ করুন। সেই আহ্বানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দেন কর্মসমিতির সদস্য তথা সংগীত ভবনের অধ্যক্ষ স্বপন ঘোষ। উপাচার্য-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হওয়া সত্ত্বেও, আন্দোলনকারীদের ডেকে সংগীত ভবনের অধ্যক্ষ স্বপনকুমার ঘোষ তাঁর পদত্যাগ করার কথা জানিয়ে বলেন, সমস্যা সমাধান করতে পারছি না। সেই কারণে স্বেচ্ছায় এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে উপাচার্যকে চিঠি পাঠিয়েছি। ভাষা ভবনের অধ্যক্ষ মুক্তেশ্বর তিওয়ারি ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান। শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদী অধ্যাপকদের পদত্যাগপত্র উপাচার্য গ্রহণ করবেন কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে একটি মহল। বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা সর্বপ্রথম ইসি মেম্বারদের কাছে আমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য তাঁদের হাতে পায়ে ধরি। তাঁরা বলেন, আমাদের কোনও ক্ষমতা নেই। বিশ্বভারতীতে একটাই পোস্ট। তিনি উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাহলে নিজেদের অসম্মানিত করে লাভ কী? এরপর সবাই একে একে পদত্যাগ করতে থাকেন।’’
আরও পড়ুন: এ কেমন বিরোধী নেতা!