প্রতিবেদন : মোদি-রাজ্য গুজরাতে (Gujarat) এবার ভয়াবহ বাজি বিস্ফোরণে মৃত্যু হল ১৭ জনের। এই বিস্ফোরণের জেরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। ধ্বংসস্তূপের নিচেও বহু মানুষ আটকে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বনকণ্ঠদিশার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গেই ১৩ জন মারা যান। পরে আরও ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। শুধু বাজি তৈরির সময়েই এই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়েছে, নাকি সেই কারখানায় অন্য কোনও নিষিদ্ধ বস্তু তৈরির কাজ চলছিল সেই প্রশ্নও উঠে গিয়েছে। বিস্ফোরণের ভয়বহতার জেরে ওই বাজি কারখানা সংলগ্ন শ্রমিক আবাসনের অনেকটা অংশ ধ্বসে যায়। তার নিচেও অনেকের চাপা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন এনআইএ তদন্ত হবে না, সেই প্রশ্নও তুলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, বাংলায় দুর্ঘটনা ঘটলে সেটা নিয়ে রাজনৈতিক বিষ মাখানো প্রচার হবে আর প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্যে দুর্ঘটনা হলে সেখানে গঙ্গাজল-তুলসী পাতা দিয়ে ঢাকা হবে— দুটো তো আলাদা ঘটনা হতে পারে না! এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যে-ধরনের প্রশ্ন করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে একই দুর্ঘটনা ঘটলে সে-ধরনের প্রশ্ন করা হয় না কেন? গুজরাতে বাজি কারখানায় যে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখান থেকে এনআইএ তদন্ত শুরু হোক। কেন্দ্রের সরকারি এজেন্সিগুলো তো শুধু বাংলার জন্য হতে পারে না! সুকান্তবাবুরা সবকিছু জেনে নিয়ে ভরসাম্যমূলক মন্তব্য করুন। গুজরাত থেকে মাদক ধরা পড়ছে নানান ধরনের ঘটনাও ঘটছে। সে-বিষয়ে তাঁরা একটি কথাও বলতে সাহস পান না।