প্রতিবেদন : প্রথম দিনেই বিপুল সাড়া পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর নবতম উদ্যোগ ‘সমস্যা সমাধান-জনসংযোগ’ কর্মসূচিতে। রাজ্যের প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষদের সব ধরনের নাগরিক পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে শনিবার থেকে ব্লক স্তরে শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত এই কর্মসূচি। কর্মসূচির প্রথম দিনে বিভিন্ন জেলায় ৬১৩০টি শিবিরের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওইসব শিবিরে ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ এসেছেন বলে নবান্নের প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-এগিয়ে এসেছে পরীক্ষার সময়, ভোর থেকেই মিলবে বাস ট্রেন অটো মেট্রো
কর্মসূচির প্রথম দিনে জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা শিবিরগুলি পরিদর্শন করেছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচির আওতায় ৮২ হাজারের বেশি শিবিরের আয়োজন করা হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, কিসান ক্রেডিট কার্ড-সহ ২০টি সরকারি প্রকল্পের আবেদন ও সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যেই এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
উত্তর ২৪ পরগনার ২২টি ব্লকেই এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে শনিবার। জেলার সরকারি আধিকারিকদের পাশাপাশি জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদীও রাস্তায় নেমে মানুষের সমস্যার কথা শোনেন, সমাধান করেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঠাকুরপুকুর-মহেশতলা ব্লকের আশুতি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আশুতি নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। তিনি বলেন, জেলার সমস্ত বুথে এই কর্মসূচি চালু হয়েছে। যে সমস্ত উপভোক্তা এই শিবিরে আসবেন তাঁদের প্রত্যেকের পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে হবে। দরকার হলে বাড়ি বাড়ি যাবেন আধিকারিকরা।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে শিবির পরিদর্শনে এসে জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদেরী ও পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বটগাছের তলায় বসে মানুষের বিভিন্ন সমস্যা শুনলেন। বীরভূমের নলহাটি দু-নম্বর ব্লকের গ্রামে গ্রামে সমস্যা সমাধান-জনসংযোগ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিডিও রজতরঞ্জন দাস, জয়েন্ট বিডিও বিধানরঞ্জন হাওলাদার ও অন্য আধিকারিকরা। পূর্ব বর্ধমানে কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশঙ্কর মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি বিশেষ ট্যাবলো বর্ধমান শহরে পথ পরিক্রমাও করে। বর্ধমান সদর উত্তর ও দক্ষিণ মহকুমাশাসক যথাক্রমে কৃষ্ণেন্দুকুমার মণ্ডল ও তীর্থঙ্কর বিশ্বাস ও ২৩টি ব্লকের বিডিওরা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘোরেন।
আরও পড়ুন-ধূপগুড়ি আজও মাতল উচ্ছ্বাসে, দায়িত্ব নিলেন নতুন মহকুমা শাসক
কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা যান দিনহাটার এক গ্রামে। বিডিও গঙ্গা ছেত্রী, দিনহাটা থানার আইসি সুরজ থাপা ও আধিকারিকরা ছিলেন সঙ্গে। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি, চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর কর্মসূচিতে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক হাসিন জহরা রেজবি, ইসলামপুরের মহকুমাশাসক মহম্মদ আব্দুল শাহিদ প্রমুখ। সমস্যা সমাধান-জনসংযোগ কর্মসূচিতে প্রতিটি জেলায় ব্লকভিত্তিক একটি করে ক্যাম্প তৈরি করা হবে। গ্রামগুলিতে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে সেই ক্যাম্প থেকে। প্রান্তিক এলাকা, পাহাড়ি অঞ্চল, পিছিয়ে পড়া জনবসতি এলাকা, চা-বাগান ইত্যাদি এলাকার মানুষ তাঁদের সমস্যা নিয়ে হাজির হতে পারবেন ক্যাম্পগুলিতে।