প্রতিবেদন : ভোটের আগে নাগরিকত্ব দেওয়ার নাম করে নমঃশূদ্র ও মতুয়াদের বিজেপি যেভাবে বোকা বানানোর খেলা খেলেছিল, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সেই ভাঁওতা আর চলবে না। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একই জিনিস করেছে। তারপর গত ৫ বছরে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে আসলে এ সবই নমঃশূদ্র-মতুয়া ও অন্যান্য জনজাতি গোষ্ঠীর ভোট পাওয়ার লক্ষ্যেই বিজেপির রাজনৈতিক গিমিক। এতে আমরা আর ভুলছি না। বরং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নমঃশূদ্র-মতুয়াদের জন্য অনেক করেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি কম দিয়েছেন কিন্তু কাজ করেছেন অনেক। আমরা না চাইতেই তাঁর কাছ থেকে অনেক পেয়েছি।
আরও পড়ুন-যাদবপুরে আজ ইউজিসির প্রতিনিধি দল
রবিবার কলকাতার মৌলালি যুবকেন্দ্রে প্রথম আন্তর্জাতিক নমঃশূদ্র-মতুয়া সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্মেলনে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন নমঃশূদ্র-মতুয়া সহ ৩৬টি জনজাতি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। শুধু এ রাজ্য নয়, অন্যান্য রাজ্য-সহ বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানের বিভিন্ন জাতি, ধর্মের গবেষক, লেখক, সাহিত্যিক, অধ্যাপক এবং গোসাঁই-পাগলরা এসেছিলেন এই সম্মেলনে। ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সংগঠনের প্রধান রঞ্জিত সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি যেভাবে নাগরিকত্বের নামে ভুল বুঝিয়ে আমাদের ভোট নিয়েছে। এবার আমরা সেপথে হাঁটব না। ওঁদের সব ভাঁওতা ও কারিকুরি ধরা পড়ে গিয়েছে। সবাই জেনে গিয়েছে বিজেপি আসলে ধর্ম ও ভোটের রাজনীতি করে। কাজের কাজ করে না।
আরও পড়ুন-কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপে বিপর্যস্ত, মৃত্যুর আগে স্ত্রীকে মেসেজ, সল্টলেকের বহুতল থেকে মরণঝাঁপ !
মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও তাঁর বক্তৃতায় রাজ্য সরকারের তরফে নমঃশূদ্র-মতুয়াদের সঙ্গে থাকার বার্তা দেন। নমঃশূদ্র-মতুয়া ভোট দখল করতে মরিয়া বিজেপি এতদিন ভুল বুঝিয়ে নাগরিকত্ব আইনের ফাঁদ পেতে ভোট নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই আইন পাশ তো দূর, তা বিল আকারেও আনতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় সিএএ-এনআরসি করতে দেবেন না। যাঁরা এখানে আছেন প্রত্যেকেই নাগরিক। নতুন করে নাগরিকত্ব প্রমাণ করার কোনও প্রয়োজন নেই তাঁদের। আর রবিবারের নমঃশূদ্র-মতুয়া সম্মেলন বুঝিয়ে দিল আগামী লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তাঁদের ভোট পাবে না। এদিনের এই সম্মেলনের পর বিজেপির কপালে ভাঁজ পড়তে বাধ্য।