প্রতিবেদন : বিজেপিতে বিদ্রোহ। বিরোধী দলনেতা আর রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। একদিকে নব্য বিজেপি, অন্যদিকে আদি বিজেপি। দুই বিজেপির মধ্যেই তুষের আগুন জ্বলছে। ধিকি ধিকি হলেও যেকোনও সময় অগ্নিস্ফুলিঙ্গের আকার ধারণ করতে পারে। সোমবারই বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন দলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তার আগে বেশ কিছু বিধায়ক এবং দলীয় নেতৃত্ব একই পদক্ষেপ করেন। যদিও রাজ্য সভাপতির নতুন টিম তা সামাল দিতে পারেনি। কিন্তু এবারে শান্তনুদের অভিযোগের তীব্রতায় কম্পন ধরেছে দলীয় নেতৃত্বের। শান্তনু সরাসরি তোপ দেগে বলেছেন, সিএএ নিয়ে প্রতিশ্রুতি রাখেনি বিজেপি। মতুয়াদের ছুরি মেরেছে। তাহলে বিজেপির সঙ্গে থাকব কেন? দ্বিতীয় তোপ, নতুন রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের উপেক্ষা করা হয়েছে। তাদের প্রতিনিধি খুঁজতে দূরবিন ব্যবহার করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন-গাড়ি থেকে নামিয়ে বিজেপির গুন্ডাদের হাতে শ্লীলতাহানি মহিলা নেত্রীর
মতুয়াদের যদি দরকারই না থাকে তাহলে বিজেপিকেও দরকার নেই মতুয়াদের। মঙ্গলবার শান্তনুর সঙ্গে বৈঠক করেন দলের পাঁচ বিধায়ক— বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী ও কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। পাঁচ বিধায়ক ও শান্তনুর সিদ্ধান্ত, প্রাথমিকভাবে তাঁরা মতুয়াদের মতামত নেবেন। মানসিকভাবে তাঁরা বিজেপি ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। হয় নতুন দল নাহলে বিকল্প পথও খোলা থাকছে। লক্ষণীয় হল, আদি বিজেপির মধ্যেও চলছে ব্যাপক টানাপোড়েন। আদি বিজেপির দুই নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার বৈঠক করেন। দু’জনেই রাজ্য কমিটি থেকে বিতাড়িত এবং গুরুত্বহীন। ফলে রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। এই যৌথ ক্ষোভের মাঝখানে পড়ে বিজেপির নব্য নেতৃত্ব কার্যত খাবি খাচ্ছে।