প্রতিবেদন : দিঘায় জগন্নাথধামের উদ্বোধনের জন্য অধীর অপেক্ষায় বাংলা। অক্ষয়তৃতীয়াতে হবে উদ্বোধন। শুক্রবারের পরে শনিবার ভিডিও পোস্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কলসযাত্রার ভিডিও পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবারেও অন্যান্য ধর্মীয় আচারের ভিডিও পোস্ট করেন। যে ভিডিও পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী, তাতে দেখা যাচ্ছে প্রদীপ প্রজ্বলন থেকে শুরু করে নানা রীতি পালন করা হচ্ছে। তিনি লিখেছেন, দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের সময় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পবিত্র আচার-অনুষ্ঠানগুলি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হচ্ছে। বাংলায় প্রভু জগন্নাথের (Lord Jagannath) আগমন এক মহান আধ্যাত্মিক তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত। তাঁর আশীর্বাদে শুধুমাত্র আমাদের রাজ্যের জনগণের জীবনে নয়, সমগ্র জাতির জন্য শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।
আরও পড়ুন- আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্য! সমবায়ে ‘অনলাইন অডিট ব্যবস্থা’ চালু করছে রাজ্য
অক্ষয়তৃতীয়াতে জগন্নাথধামকে নিয়ে নতুন গান বেঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায় ও সুরে গেয়েছেন মন্ত্রী তথা গায়ক ইন্দ্রনীল সেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই শুক্রবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গানের ভিডিও পোস্ট কছেন। গানের কথা এইরকম— নয়ন পথগামী/ তুমি জগন্নাথস্বামী/ জয় জগন্নাথ জয় জগন্নাথ জয় জগন্নাথ জয় হে। এই ভক্তিগীতি এবার বাজবে দিঘা-সহ বাংলার সর্বত্র। সুরমূর্ছনায় মাতিয়ে দিয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন। নিশ্চিতভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর বাকি গানগুলির মতোই এই গানও সুপার-ডুপার হিট হওয়ার অপেক্ষায়।
জগন্নাথধামের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী-সহ উপস্থিত থাকবেন সমাজের নানা ক্ষেত্রের মানুষজন। থাকবেন বিশিষ্টরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সবরকম প্রশাসনিক ও অন্যান্য ব্যবস্থা সারা হয়ে গিয়েছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। শুক্রবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জগন্নাথধামের ‘কলসযাত্রা’র ভিডিও সামনে এনে নিজের ভাল লাগার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সেখানে লিখেছেন, সব নিয়মকানুন ও রীতি-রেওয়াজ মেনেই সবকিছু হচ্ছে এই জগন্নাথধামে। এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে সুসজ্জিত দিঘার জগন্নাথ মন্দির। সেখানে কলসিতে করে জল নিয়ে আসছেন মহিলারা। রয়েছেন পুরোহিতরাও। শুধু পর্যটনকেন্দ্র নয়, দিঘাকে এবার ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবেও গড়ে তুলতে চান মুখ্যমন্ত্রী। ৩০ এপ্রিল দিঘায় উদ্বোধন হবে জগন্নাথধামের। দিঘার ওই মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে ইসকনের হাতে।