বালিমাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে ৩০০ কোটির জলপ্রকল্পের ক্ষতির আশঙ্কা পুরপ্রধানের

বর্ধমানের ৩০০ কোটি টাকার জলপ্রকল্প বালিমাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে ধসে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বর্ধমান পুরসভার প্রধান পরেশ সরকার।

Must read

সংবাদদাতা, বর্ধমান : বর্ধমানের ৩০০ কোটি টাকার জলপ্রকল্প বালিমাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে ধসে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বর্ধমান পুরসভার প্রধান পরেশ সরকার। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সরব হয়েছেন পরেশ। বুধবার তিনি জানিয়েছেন, দামোদরে জলপ্রকল্পের সামনে থেকে তোলা হচ্ছে বালি। যে কোনও সময় ধসে যেতে পারে জলপ্রকল্পের ইনফিলট্রেশন গ্যালারি। গলসির জুজুটিতে দামোদর থেকে জল তুলে সরবরাহ করা হচ্ছে বর্ধমান শহরে। তার কাছ থেকেই তোলা হচ্ছে বালি। পুরসভা বলছে, এই বালি তোলা সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি। অবিলম্বে তা বন্ধ না হলে ধসে যেতে পারে জল প্রকল্পের নির্মাণকাঠামো। আশঙ্কাপ্রকাশ করে ছবি-সহ পুর দফতর ও সংশ্লিষ্ট সব দফতরে চিঠি পাঠাল পুরসভা। আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে জেলাশাসককেও।

আরও পড়ুন-শ্রীরামপুরের পুরপ্রধান পদে ফের নির্বাচিত গিরিধারী সাহা

বুধবার বর্ধমান শহরের বিদ্যার্থী ভবন উচ্চ বিদ্যালয়ে জলপ্রকল্প উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি বলেন, পুকুর ভরাট খুব লাভজনক ব্যবসা। একটা পাঁচ-ছয় কাঠা পুকুর যদি ভরাট করতে পারলে এক কোটি টাকার সম্পত্তি। এখন এই সব লোকেদের কাছেই ভিড়, যারা বেআইনি নির্মাণ করিয়ে দিতে পারে, সরকারি জমি দখল করিয়ে দিতে পারে। সুন্দরভাবে জিটি রোডের পাশে পাথরের ফুটপাথ তৈরি হল, সব দখল। ফুটপাথ জুড়ে চলছে রান্না, খাওয়াদাওয়া, থাকা। ধরতে গেলেই বলছে, পেটে লাথি মারছে।
জেলখানা মোড় হয়ে বর্ধমান ইউনিভার্সিটির হস্টেল মোড় অবধি গেলে দেখা যাবে দু’পাশে দোকান। এরা কেউ বর্ধমানের লোক নয়, বাইরে থেকে এনে টাকার বিনিময়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের কারণেই যানজট হচ্ছে, সাধারণ মানুষ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন, অভিযোগ পরেশের।

Latest article