প্রতিবেদন : আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসল নবান্নে। শহরের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা কীভাবে আরও জোরদার করা যায়, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। শনিবার সকালেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আরজি করকে আর একটু বাড়াতে হবে। খুবই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোর ওখানে এখন আর ট্রাম চলে না।
আরও পড়ুন-মানসিক শক্তি বাড়ায় আপটন, দেশে ফিরে বললেন হরমনপ্রীত
ওই জায়গাটা আরজি করকে দেওয়া গেলে আর একটা বিল্ডিং হতে পারে, পরিসর বাড়তে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ভাবনার পরই নবান্নের বৈঠকে বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোতে আরজিকর হাসপাতালের অ্যানেক্স বিল্ডিং তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন মুখ্য সচিব বিপি গোপালিকা, স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ প্রশাসনের অন্য শীর্ষ আধিকারিকরা। বৈঠকে আরজি কর সংলগ্ন সাড়ে তিন একর জায়গা জুড়ে নতুন ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই ভবনের একটি ফ্লোরের নাম আরজি করের মৃত চিকিৎসক-ছাত্রীর স্মৃতিতে করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেহেতু নির্যাতিতার নাম সামনে আনা যায় না, তাই কী নামে হবে সেটা আলোচনা করে ঠিক করা হবে। বৈঠক শেষে বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোর জমি পরিদর্শন করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে, নবান্নের বৈঠকে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। হাসপাতালের প্রতিটি গেটে সিসিটিভি বাড়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, হাসপাতালের গেটগুলিতে নিরাপত্তাকর্মীও বাড়ানো হবে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের প্রায় সব জায়গায় প্রয়োজনে সিসিটিভি বাড়ানো হবে। জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।