প্রতিবেদন: বর্ষা আসছে। মহানগরীর বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে বারবারই সতর্কবার্তা দিচ্ছেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim)। নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার স্বার্থেই বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে অনুরোধ করছেন তিনি (Mayor Firhad Hakim)। কেউ কথা শুনছেন, কেউ শুনছেন না। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন পুর কর্তৃপক্ষ। তবে পুরসভার বিশেষ টিম ইতিমধ্যেই ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন বিপজ্জনক বাড়ি চিহ্নিত করছেন। ব্যবস্থাও নিচ্ছেন প্রয়োজনে। রবিবার শিয়ালদহের কাছে এমনই এক বিপজ্জনক বাড়ি আচমকা ভেঙে পড়ে। তবে সৌভাগ্যক্রমে কেউ হতাহত হয়নি। মধ্য কলকাতার শিয়ালদার কাছে অ্যান্টনিবাগান লেনের ঘটনা। বাড়ি ফাঁকা থাকায় দুর্ঘটনার জেরে হতাহতের খবর নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল আটটার কিছু পর অ্যান্টনিবাগান লেন ও বুদ্ধ ওস্তাগর লেনের সংযোগস্থলের ওই পুরনো বাড়ির দোতলার বারান্দার অনেকটা অংশ ভেঙে পড়ে। দেওয়ালেরও কিছু অংশ ভেঙে যায়। বাসিন্দারা বাইরে বেড়াতে যাওয়ায় ওই বাড়ি ফাঁকাই ছিল। তাই সবাই বেঁচে গিয়েছেন। বাড়ির একতলায় একটি দোকানও রয়েছে। সকালে সেটিও বন্ধ ছিল। ফলে বড় রকমের ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ। আসেন কাউন্সিলর সোমা চৌধুরি। তিনি বলেন, পুরনো হওয়ার কারণেই ওই বাড়ির কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছিল। সেই সঙ্গে কিছুদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। তার জেরেই বাড়িটি ভেঙে পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনি বাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেন। তবে অনেকেই বলছেন, পুরসভার পক্ষ থেকে ওই বাড়ির মালিককে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট কার্ড, হোমওয়ার্ক নেতা-মন্ত্রীর
গত কিছুদিন ধরেই শহরের পুরনো জরাজীর্ণ বাড়িগুলি নিয়ে শহরবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বারবারই বাড়িগুলি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বাসিন্দাদের অনুরোধ জানান। সেই সঙ্গে তিনি আশ্বাসও দিয়েছেন, যে ওই বাড়িগুলি যখন নতুন করে তৈরি হবে তখন তাঁদের কথাও ভাবা হবে। তাঁদের বাদ দিয়ে বাড়িমালিক কোনও বাড়ি সংস্কার বা ফ্ল্যাট করতে পারবেন না। কিন্তু মেয়রের এই আশ্বাসের পরও দেখা যাচ্ছে পুরনো বাড়িগুলির বাসিন্দারা প্রশাসনের কথা কানে তুলছেন না।