প্রতিবেদন : আরজি করের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দেশজোড়া এত প্রতিবাদ, এত আন্দোলনের মধ্যেও দিকে দিকে হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে ধর্ষণের মতো ঘটনা। গত কয়েকদিনে অসম, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় সমাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ধর্ষণের মতো নিকৃষ্টতম ঘটনায় জর্জরিত সমাজে আরও একবার রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং স্বামী বিবেকানন্দদের মতো মনীষীদের প্রয়োজনীয়তা বোধ করালেন মহানাগরিক। জানালেন, আরজি করের এমন ঘৃণ্যতম ঘটনার পরও অসম, উত্তরাখণ্ডে ধর্ষণ হয়েই চলেছে। দেশে প্রতিদিন গড়ে ৯০টি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। কোথায় যাচ্ছে সমাজ? ভারতে আরও একবার রামমোহন রায়ের মতো, বিদ্যাসাগরের মতো মনীষীদের প্রয়োজন। আরজি করের ঘটনায় ন্যায়বিচারের পরিবর্তে বিরোধীরা যেভাবে নোংরা রাজনীতি করছে, তারও তীব্র নিন্দা জানান ফিরহাদ। ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, চারিদিকে ধর্ষণের এত ঘটনা ঘটছে। আর এটা নিয়ে রাজনীতি করছে! লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাওয়া উচিত।
আরজি করের ঘটনায় গোটা দেশ তোলপাড়। এতকিছুর মধ্যেও অসম, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতেও একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিভিন্ন রাজ্যে এমন জঘন্য সামাজিক ব্যধি ছড়িয়ে পড়ায় সমাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কলকাতার মহানাগরিক। শনিবার টক টু মেয়র অনুষ্ঠানেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেন ফিরহাদ হাকিম। বলেন, আমার নাতনি রোজ খবরে দেখছে এইধরনের ঘটনা। সে যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে, বড় হলে আমারও কি এমন হবে, আমি কী জবাব দেব? এটা নিয়ে সমাজকে ভাবতে হবে। শুধু হিংসা আর ঘৃণার রাজনীতি করলেই হবে না। আরজি করের ঘটনা ন্যক্কারজনক। কিন্তু সারা দেশে কী হচ্ছে এটা? এই কি চৈতন্যের ভারতবর্ষ? বিবেকানন্দর ভারতবর্ষ? এত ঘৃণা কেন? এত অসহিষ্ণুতা কেন?
আরও পড়ুন-আইএসএলে স্বাগত, নতুন থিম সং আনছে মহামেডান
এদিকে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদের নামে নোংরা রাজনীতি করছে বিরোধী সিপিএম ও বিজেপি। বিরোধীদের এই চক্রান্ত নিয়ে তীব্র কটাক্ষও করেন শহরের মেয়র। বলেন, আরজি করের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। আদালতে কেস চলছে। যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমরাও। কিন্তু এই ঘৃণ্যতম ঘটনা নিয়েও রাজনীতির খেলা খেলছে বাম আর বিজেপি। সমাজে হিংসা এবং ঘৃণার রাজনীতি নিয়ে এসেছে বিজেপি। সেই সমাজকে পাল্টাতে হবে। সমাজকে আরও ধৈর্যশীল করতে হবে। আন্দোলনের নামার জন্য সমাজকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। বাম-রাম মিলিতভাবে এই উসকানি দিচ্ছে।