প্রতিবেদন: সোমবার থেকে কড়া নিরাপত্তায় রাজ্যে শুরু হয়েছে ডাক্তারি পরীক্ষা (Medical examination)। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে হল পরীক্ষা। সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে নেওয়া হল পরীক্ষা । ৬ হাজার পরীক্ষার্থী বসেছে এবারের পরীক্ষায়। এদিন পরীক্ষার পর বায়োমেট্রিক লক সমেত ট্রাঙ্কে এক্সাম শিট পোস্টাল ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হয়। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, পরীক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়েই বসে খাতা দেখতে হবে। এই প্রথম সম্পূর্ণ লাইভ স্ট্রিমিং-এর আওতায় পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা করা হল। পরীক্ষা (Medical examination) কক্ষে নজরদারিতে ছিলেন স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- গবেষণা প্রকাশে দেশে প্রথম কলকাতা
আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার পর স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর মেনে বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষার আয়োজন করা হল। পরীক্ষা শুরুর বেশ কিছুটা আগেই শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন ছাত্র-ছাত্রীরা। পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশের আগে হল বডি ফ্রিসকিং’। মোবাইল, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, কাগজের টুকরো নিয়ে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ রুখতেই এই ব্যবস্থা।
গত একুশে নভেম্বর ‘এসওপি’ জারি করে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, শেষের এক ঘণ্টার মধ্যে উত্তরপত্র নির্দিষ্ট বাক্সে ঢুকিয়ে ডিজিটাল লক করতে হবে। এবং তা তুলে দিতে হবে ডাক বিভাগের হাতে। সেই মতই যাবতীয় কাজ হয় এদিন।
এদিন ২৫ জন পরীক্ষার্থী পিছু এক জন ইনভিজিলেটর ছিলেন। কলেজের অধ্যক্ষ, অধিকর্তা এবং ডিন একমাত্র সেন্টার ইনচার্জ হতে পারবেন বলে আগেই জানানো হয়েছিল। এছাড়াও উত্তরপত্রে ছিল বিশেষ কোড-ডিকোড পদ্ধতি।