প্রতিবেদন: নৃশংস, মধ্যযুগীয় বর্বরতা যোগীরাজ্যে। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে গরম লোহা দিয়ে তার মুখে নিজের নাম লিখে দিল এক যুবক। লোকসভা ভোটের মাঝেই এই ভয়ঙ্কর ঘটনা মারাত্মক অস্বস্তিতে ফেলে দিল বিজেপিকে। আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বাকসর্বস্ব গেরুয়া সরকারের চূড়ান্ত প্রশাসনিক ব্যর্থতা। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের খেরি। ধর্ষণকারী যুবকের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা হয়েছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ। রাজ্যজুড়ে উঠেছে তীব্র নিন্দার ঝড়। সমালোচনার আঙুল উঠেছে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-দেড় মাসে কেউই নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করেনি, জানাল শাহর মন্ত্রকই
নাবালিকার অভিযোগ, যুবকের পরিবারের সদস্যদের মদতেই এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৭ বছর বয়সি নাবালিকাকে অপহরণ করে তিনদিন নিজের বাড়িতে রেখে দিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক। সেখানেই তাকে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়। ৩ দিন পর সুযোগ বুঝে কোনওরকমে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে সোজা থানায় গিয়ে যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকা। পুলিশকে মেয়েটি জানিয়েছে, গত ১৯ এপ্রিল দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে আচমকাই ওই যুবক তাকে তুলে নিয়ে যায়। নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। পাশবিক অত্যাচারের পাশাপাশি লোহা গরম করে যুবকটি মেয়েটির মুখে নাম খোদাই করে দেয়। সেই সময় তার হাত ও পা চেপে ধরে রেখেছিলেন অভিযুক্ত যুবকের মা এবং বোন। কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
নাবালিকা জানিয়েছে, কিছুদিন আগেই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল ২১ বছরের ওই যুবক। কিন্তু নাবালিকা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অভিযুক্ত।
ভোটের মাঝেই যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচারে গিয়ে মোদি এবং বিজেপির অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা বিরোধীদের বিরুদ্ধে যখন মিথ্যাচারের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন তখন যোগীরাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকারের শাসনে এই মধ্যযুগীয় বর্বরতা রীতিমতো এক বড় প্রশ্ন তুলে দিল নারী-সুরক্ষা নিয়ে।