তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) পদযাত্রা এবং সভার কর্মসূচিতে ভয় পেয়েছে ত্রিপুরার বিজেপি (Bjp) সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের জায়গা নেই। সেই কর্মসূচি বানচাল করতেই রবিবার দিনভর এত জোরদার পরিকল্পনা করে বিপ্লব দেবের পুলিশ। বিকেলে গ্রেফতার করা হয় যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে (Sayani Ghosh)।
আরও পড়ুন-TMC in Delhi: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সময় দিলেন না, অবশেষে নর্থ ব্লকের সামনে ধর্নায় বসল তৃণমূল কংগ্রেস
সেখানেই থেমে থাকেনি তারা। বাতিল করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা। সোমবার সকালে আগরতলা পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল (Tmc) সাংসদ। আজ দুপুর দুটোয় আগরতলার ওরিয়েন্ট চৌমোহনীতে পথসভা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। সভায় উপস্থিত থাকবেন সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev), কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), অর্পিতা ঘোষরা (Arpita Ghosh)।
এই মর্মে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, তাঁদের প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। তবে, ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূলের পাশেই আছেন। তাদেরই এবার ভোট দেবেন ত্রিপুরাবাসী। এবার “চুপচাপ জোড়া ফুলে ছাপ”।
আরও পড়ুন-Sayoni Arrest: সায়নীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ
এদিন সকালে সায়নী ঘোষকে দেখতে থানায় যান তৃণমূলের নেতা তথা বাংলার মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), সাংসদ সুস্মিতা দেব, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, অর্পিতা ঘোষরা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় বসু, শঙ্কর লোধ, অগ্নিশ বসু। SDPO রমেশ যাদবের সঙ্গে আলোচনা করেন। কথা বলেন সায়নীর সঙ্গেও।
আরও পড়ুন-অগাস্ট ওয়াইজম্যান জেনেটিক গবেষণার পিতা
ত্রিপুরায় আহত নেতা-কর্মীদের মনোবল বাড়াতে রবিবার রাতেই ত্রিপুরায় যাওয়ার চেষ্টা করেন অভিষেক। কিন্তু বিমানবন্দরের টেকনিক্যাল সমস্যার কারণ সেটা সম্ভব হয়নি। সোমবার সকালে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। প্রতি মুহূর্তে তিনি যোগাযোগ রাখছেন অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে। এদিন দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠক করার কথা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।