প্রতিবেদন : গণনার আগের দিন বেশ রিল্যাক্সড মুডে বিধাননগরের তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) হেভিওয়েটরা। নিশ্চিত জয়ের প্রতীক্ষা, তবে কোনও আত্মতৃপ্তির অবকাশ নেই। রবিবার তাই কৃষ্ণা চক্রবর্তী, সব্যসাচী দত্ত এবং তাপস চট্টোপাধ্যায়রা সকাল থেকেই দফায় দফায় বৈঠক করেছেন দলের প্রার্থী এবং কাউন্টিং এজেন্টদের সঙ্গে। প্রস্তুত করা হয়েছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। জরুরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের কর্মীদের। সারাদিন ম্যারাথন বৈঠকের পরে সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) কর্মীদের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় বেশ কিছুক্ষণ মেতে ওঠেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। বললেন, “বেশ কিছুদিন ধরে একটানা পরিশ্রম করে চলেছেন কর্মী-সমর্থকরা। সোমবারও রয়েছে গণনার ব্যস্ততা। তাই মাঝে একটু হাল্কা হয়ে নেওয়া।” তাপস চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “গণনা প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রার্থী এবং এজেন্টদের। এদিকে গণনাকেন্দ্র বিধাননগর কলেজে রবিবার অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়ল। কোথাও মাছি গলার জায়গা নেই। বিরোধীরা দাবি করেছিল বিধাননগরের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বাংলার পুলিশই প্রমাণ করে দিয়েছে তাদের দক্ষতা। সাড়ে ৪ হাজার পুলিশ কর্মী, কুইক রেসপন্স টিম বুঝিয়ে দিয়েছে, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য তারাই যথেষ্ট। গোলমাল পাকানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৬ জনকে। সোমবার গণনার দিনেও শান্তি বজায় রাখার জন্য সবরকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।