প্রতিবেদন : দুর্ঘটনা রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার সল্টকেলের নগরায়ণ ভবনে বৈঠকে বসেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, নগরোন্নয়ণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক। বৈঠকে ছিলেন বাস মালিক সংগঠনের নেতারাও। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরিবহণমন্ত্রী বলেন, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর ফলে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করতে চায় পরিবহণ দফতর।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের অর্থে অস্ত্রোপচার, সুস্থ হুগলির পড়ুয়া
সেইসঙ্গে লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত-সহ ক্ষতিপূরণ ও আরও একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাশ ড্রাইভিংয়ের ক্ষেত্রে আর কোনও ঢিলেমি দিতে চায় না পরিবহণ দফতর। একইসঙ্গে পথচারীদেরও সতর্ক হয়ে চলার ক্ষেত্রে, রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে, সিগন্যাল মানার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দিতে প্রচার ব্যবস্থাও রাখবে সরকার। এর বাইরে আরও কী কী করা যায় তার পরামর্শও চাওয়া হয়েছে পুলিশ ও বাস মালিক সংগঠনের কাছ থেকে। রাজ্য পুলিশ সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ কর্মসূচি করে। এবার থেকে রাজ্য জুড়ে পরিবহণ দফতরও এই কর্মসূচি করবে। কারণ বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে অনেক সময়ই নানা অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় বাস মালিকদের। তাদের বলা হয়েছে, চালকদের কমিশন প্রথার অবলুপ্তি ঘটাতে। সব মিলিয়ে কড়া পদক্ষেপ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। দু’দিন আগে সল্টলেক দু’নম্বর গেটে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর পর পাহাড় সফররত মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে পরিবহণ দফতর। তারপরেই এদিনের মেগা বৈঠক।