প্রতিবেদন : বিদেশি ক্লাবগুলোর ধাঁচে এবার মোহনবাগানেও শুরু হল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের রং, লোগো ব্যবহৃত সামগ্রীর মার্চেন্ডাইজিং। সরকারিভাবে এই প্রথম শুরু ক্লাবের নিজস্ব সামগ্রী বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হল। ক্লাবের আউটলেট থেকে বুধবারই বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। নিঃসন্দেহে মোহনবাগান সদস্য, সমর্থকদের কাছে এটি ঐতিহাসিক দিন।
আরও পড়ুন-রোহিত-বিরাট নিয়ে ক্লার্ক, এটাই অস্ট্রেলিয়ায় শেষ সিরিজ ওদের
বুধবার কার্যকরী কমিটির বৈঠকে ক্লাবের অফিসিয়াল মার্চেন্ডাইজের উন্মোচন করা হয়। আপাতত টি-শার্ট, প্ল্যান্টার, সিপারস, মগ, কোট পিন এবং ছাতা রয়েছে সবুজ-মেরুন আউটলেটে। আগামী দিনে সমর্থকদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে আরও অনেক নতুন সামগ্রী থাকবে। নিজেদের পছন্দমতো কিনতে পারবেন সমর্থকরা। সচিব দেবাশিত্ত বললেন, ‘‘এখন বিকেল চারটে থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত ক্লাবের আউটলেট থেকে জিনিসপত্র কেনা যাবে। এরপর আমরা উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতায় আউটলেট করার কথা ভাবছি।’’
ফুটবলের পাশাপাশি মোহনবাগান ক্লাবে ক্রিকেটের পরিকাঠামো আন্তর্জাতিক মানের করা হয়েছে। তরুণ প্রতিভা তুলে আনার লক্ষ্যে আধুনিক ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে। এই মিশনে এবার মোহনবাগান ক্লাব চালু করছে ‘ক্রিকেট ডে’। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে ’৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী একজন ক্রিকেটার ক্লাবের নতুন ক্রিকেট পরিকাঠামোর উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের দিনটিতেই প্রতিবছর ‘ক্রিকেট ডে’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাব।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, অংশ নেবে বাংলার ১৭টি দফতর
বুধবারের সভায় শহরের স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ প্রস্তাব ছিল ক্লাবের সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষের। সেই মতো চালু হচ্ছে ‘মোহনবাগান চলো’ উদ্যোগ। মোহনবাগান ভ্রমণে এসে স্কুল পড়ুয়ারা ক্লাবের ইতিহাস জানতে পারবে। মোহনবাগানের সিনিয়র ফুটবল টিম সেই সময় মাঠে অনুশীলন করলে ফুটবলারদের সঙ্গেও পড়ুয়াদের সাক্ষাতের ব্যবস্থাও করে দিতে চান কর্তারা। কুণাল ঘোষ বললেন, ‘‘ময়দানের একটা ইতিহাস রয়েছে। মোহনবাগান একটা প্রতিষ্ঠান। সেখানে স্কুলের আগ্রহী ছেলেমেয়েরা এখানে এসে ক্লাবের ইতিহাস জেনে সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে।’’ এছাড়াও এদিন কর্মসমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, উন্নতমানের একটা অ্যাথলেটিক্স টিমও গড়া হবে।