সৌম্য সিংহ, হলদিয়া: একটু ব্যতিক্রমী ভাবনা, ব্যতিক্রমী আয়োজন। গ্রাম্য আর শহুরে অর্থনীতির মধ্যে মেলবন্ধনের আন্তরিক প্রয়াসের স্পষ্ট প্রতিফলন এখানে। শুধুমাত্র এই কারণেই গ্রামে ঘেরা শিল্পাঞ্চল হলদিয়ার ক্ষুদিরাম মেলা ব্যাপক সাড়া জাগাতে পেরেছে সমাজের সর্বস্তরে। শিল্পনগরীর প্রাণকেন্দ্র বাসুদেবপুরের এইচএফসি মাঠে এই মেলার বয়স ৩০। অনেক ঝড়ঝাপ্টার মধ্যেও এই ৩ দশক সাফল্যের সঙ্গে পার হওয়া সম্ভব হয়েছে উদ্যোক্তাদের ব্যতিক্রমী ভাবনার জন্যই।
আরও পড়ুন-গোল্ডেন বুটের দৌড়ে এমবাপে, মেসি ও জিরু
৩ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। চলবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, মাত্র ৩ টাকার বিনিময়ে এই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে গৃহস্থলীর অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। স্টলে স্টলে রীতিমতো ফ্লেক্স লাগিয়ে, ভিনাইল বোর্ড ঝুলিয়ে ঘোষণা করা হচ্ছে, যা নেবে তাই ৩ টাকা। কোথাও লেখা, এক দর, ৩ টাকা। কোনও কোনও দোকানে অবশ্য ৫ টাকাতেও হরেক আইটেম। ৩ টাকা, ৫ টাকা, ৭ টাকা, ১০ টাকা- এক-একটা দোকানে এক-একরকম অফার। আর সেইসব অফার লুফে নেওয়ার ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মেলা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন-কাতারে এসেও টের পাচ্ছি, সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল!
সব দেখেশুনে মনে পড়ে যাচ্ছে ‘পৃথিবী আমারে চায়’ ছবিতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত গান— নিলামওয়ালা ছ’আনা/ যা নেবে তাই ছ’আনা। একটা কথা হয়তো অনেকেরই জানা নেই, তমলুকের মশারি-শিল্প বেশ সমৃদ্ধশালী। বিশেষ করে রাধামণির মশারির বেশ চাহিদা বাজারে। ক্ষুদিরাম মেলাতেও দেদার বিকোচ্ছে আধুনিক ডিজাইনের এই রাধামণি মশারি। নাইলনের ফিনফিনে জালের নানারঙের মশারি পাওয়া যাচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। ডেঙ্গি থেকে বাঁচতে এইসব স্টলে ব্যাপক ভিড়। আকৃষ্ট করছে শীতের পোশাক এবং রসনাতৃপ্তির সামগ্রী।