গতকাল রাত থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফআইয়ের তাণ্ডবে তুমুল অশান্তি। আজও পরিবেশ বেশ থমথমে। এর মধ্যেই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI)। সোমবার থেকে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা এবং বনধ ডেকেছে। অন্যদিকে সোমবার থেকেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই অবস্থায় পরীক্ষার্থীদের যেন রাস্তাঘাটে কোনও রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় এই নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।
আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশে ইঞ্জেকশনে গলদের জেরে অস্ত্রোপচারের পরেই স্মৃতি হারালেন ৫ প্রসূতি
আজ, রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতার সিপির সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মনোজ ভার্মা বলেন, ‘‘কাল কিছু রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও রকম সমস্যায় পড়তে না হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। যদি পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়েন, তা হলে অ্যাকশন নেওয়া হবে।’’ নগরপাল জানান, ”উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রাস্তাঘাটে যাতে কোনও সমস্যার মুখে পড়তে না হয়, তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা রাখা হবে। সমস্যা পড়লেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। পুলিশ তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে।’’ আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে কলকাতা পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরটি চালু করা হয়েছে যেটি হল ৯৪৩২৬১০০৩৯।
রাজ্য পুলিশের তরফে এদিন বলা হয়েছে, ”১০০ ডায়ালে ফোন করতে পারেন। আমরা আশা করি যারা রাজনৈতিক কর্মসূচি কালকে রেখেছেন এই ইস্যুটা তারা মাথায় রাখবেন। কারোর যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটা দেখা হবে। ১০০ নম্বরে ডায়াল করবেন। সবথেকে কাছের থানা থেকে সহায়তা পাবেন। যতটুকু হেল্প করার দরকার সবটা করা হবে। অত্যন্ত সিরিয়াসলি এটা দেখছি আমরা। এটা পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের ব্যাপার। কাল পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে। ট্রাফিক বিভাগ যথেষ্ট সক্রিয় থাকবে। রেলস্টেশন ও বাসস্টপ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করছি যে পরিমান ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটা সকলের জন্যই অত্যন্ত সহায়ক হবে। সব কিয়স্কে সিভিক ভলান্টিয়ার সহ রাজ্য পুলিশের যারা থাকবেন তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন। ৩রা মার্চ কিছু সংগঠন কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা জানিয়েছে। আমরা সবটাই জেনেছি সোশ্য়াল মিডিয়ার মারফত।” এরপরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ”যাদবপুর নিয়ে ২টো মামলা পুলিশ সুয়োমোটো করেছে। সব মিলিয়ে ৭টা মামলা হয়েছে। রাত সাড়ে ৯টার কিছু সময় পরে কার্যালয়ে আগুন দেখতে পান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই ঘটনায় একজন গ্রেফতার হয়েছে। কারা জড়িত রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাদবপুরের কাছাকাছি সর্বত্র পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা থাকবে। ট্রাফিকের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে।”