মনরেগা : বাংলাকে বঞ্চনা বিজেপির ইচ্ছাকৃত, প্রমাণিত

Must read

প্রতিবেদন : তিনবছর বন্ধ থাকার পর ফের ১০০ দিনের কাজ চালুর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতে বাংলার একশো দিনের কাজের টাকা বকেয়া রাখা নিয়ে মুখ পুড়েছে বিজেপির। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ওই প্রকল্পে বাংলার বকেয়া টাকা দিতে হবে কেন্দ্রকেই। একই সঙ্গে দরিদ্র মানুষের আর্থিক অবস্থা সচল রাখতে কাজও দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, প্রদীপ মজুমদার ও সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে সুপ্রিম কোর্টে বাংলার জয়ের বিষয়টি তুলে ধরেছেন তাঁরা। বৈঠকে দলের তরফে বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের রায় সত্যের জয়! এই জয় বাংলার মানুষের জয়, যাঁরা তিন বছর ধরে চোখের জল ফেলেছেন, এই জয় তাঁদেরকেই উৎসর্গ করা হবে।
সুপ্রিম-রায়ের পর বিজেপির প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যেভাবে তিনবছর ধরে বাংলার প্রতি বঞ্চনা করেছে, তার প্রমাণ পেয়েই বাংলার প্রতি ন্যায়বিচার দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চলা এতদিনের লড়াইয়ের ফল মিলল! আবার সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বছরের পর বছর বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছিল কেন্দ্র। হাইকোর্টের নির্দেশ না-মেনে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও মুখ থুবড়ে পড়ল জনবিরোধী, বাংলাবিরোধী বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমাদের ন্যায্য লড়াই প্রমাণ করল— সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী। অন্যদিকে, বিজেপিকে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের তীব্র ভর্ৎসনা, বাংলার ন্যায্য অধিকারের লড়াইয়ে বিজেপির ভণ্ডামি ধরা পড়ে গেছে! এটা শুধু অনৈতিক নয়, গণবিরোধীও বটে।

আরও পড়ুন- ধর্ষণ, ৫ বছর পর জালে বিজেপি বিধায়কের ভাইপো

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্ট বাংলায় ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকারকে। এই রায় প্রমাণ করে দিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম দিনের বক্তব্যই ঠিক। বাংলাকে বঞ্চিত করতে বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপ ছিল অনৈতিক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সুপ্রিম কোর্ট এই বঞ্চনার অজুহাতকে প্রত্যাখ্যান করেছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে যে এসএলপি করেছিল, তাও এদিন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

Latest article