সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : শীত পড়তেই পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করেছে ডুয়ার্সে। ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদী এবং জলাশয়ে আস্তানা গাড়ছে তারা। মূলত জলঢাকা, এবং তিস্তা নদী সংলগ্ন জলাশয়গুলিতে তারা শীতের সময় থাকতে পছন্দ করে। সুদূর সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসে এই পাখির দল। ফিবছর বিভিন্ন প্রজাতির রংবেরঙের পাখিরা এখানে আসে।
আরও পড়ুন-অশীতিপর প্রাক্তনীর উপস্থিতিতে জ্বলে উঠল উৎসবের আলো
নদীর পাশাপাশি স্বচ্ছ জলাশয়গুলোতেও ডেরা তৈরি করে৷ হরেক রকম পাখি দেখতে প্রচুর পর্যটক আসেন দূরদূরান্ত থেকে। কিছুদিন আগেই হাজির কয়েকটি প্রজাতির পাখি তিস্তা, জলঢাকা নদী ও কয়েকটি জলাশয়ে। জলপাইগুড়ির তিস্তা রেলসেতু সংলগ্ন জলাশয়ে এদের দেখা মিলেছে। তবে শীতের একদম শুরুতেই আসতে শুরু করায় বেশ উচ্ছ্বসিত পাখিপ্রেমীরা। ব্রাহ্মিজগুজ, রুড়িশেলডাক, কমন গুজ, পিন্ডেল, লেজার হুইসলিং সহ বেশ কয়েক প্রজাতির পাখি ইতিমধ্যেই ডেরা জমিয়েছে। শীত পুরোপুরি পড়ার আগেই আরও পাখি আসবে বলে মনে করছেন পাখি বিশেষজ্ঞরা৷ ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু জানান, প্রতি বছর শীতে পাখিরা আসে।
আরও পড়ুন-ধান্দাবাজ গদ্দার কারে কয়, সে কি কেবলই শুভ ইন্দুর উদয়
এবারও এসেছে তবে কত প্রজাতি বা পরিমাণ পাখি আসবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তাছাড়া সিকিমের বন্যায় তিস্তায় পলি পড়ে তিস্তার নাব্যতা কমেছে এবং বেশ দূষিত হয়েছে জল, সেই কারণে এবার তিস্তা বা গাজলডোবায় পাখির সংখ্যা কম হতে পারে। পরিযায়ী পাখিরা যাতে সঠিক পরিবেশ পায়, সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে বন দফতর বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। পাশাপাশি তিনি বলেন, পাখিদের কেন্দ্র করে পর্যটনও গড়ে উঠছে। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী পর্যটনের প্রতি বিশেষ নজর দিচ্ছেন। সেই কারণে বন দফতরের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে৷ তাই পরিযায়ী পাখিদের সঠিক পরিবেশ দেওয়ার বিষয়টিকে মাথায় রেখে জলাশয়গুলিকেও সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা তাঁরা করবেন। তাতে আরও বেশি পরিযায়ী পাখি আসবে, পর্যটন বাড়বে, সেইসঙ্গে ওই সব এলাকার আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাও উন্নত হবে।