আর্থিকা দত্ত, জলপাইগুড়ি: বাংলা সম্প্রীতির পীঠস্থান। সম্প্রীতির বাংলা কেমন হতে পারে, তা ফের একবার বুঝিয়ে দিল উত্তরের দুর্যোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বাংলার সম্প্রীতিকে তুলে ধরেছেন। এবারও উত্তরবঙ্গের দুর্যোগে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এসেছিলেন। দলীয় নেতৃত্ব ও প্রশাসনকে একযোগে বার্তা দিয়েছিলেন উৎসবের মরশুমে ধসও বন্যাদুর্গত মানুষদের পাশে থাকতে। যে ভিত রচনা করে দিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তা দীপাবলিতে উত্তরের দুর্গত মানুষের পাশে থেকে করে দেখালেন মিজানুর রহমানেরা (North Bengal_disaster)।
তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান দীপবলিতে ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে দুর্গতদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন। উৎসবের বাংলায় (North Bengal_disaster) দুর্গত মানুষগুলোর ঘরে বাতি জ্বালাবার সামর্থ্য ছিল না। ধর্মের ভেদাভেদ ভেঙে মিজানুর হিন্দু পরিবারের হাতে তুলে দেন মাটির প্রদীপ। সঙ্গে মিষ্টি ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী। সবাই একসঙ্গে মিজানুরদের দেওয়া প্রদীপ জ্বেলে প্রার্থনা করেন সুদিন ফেরার।
আরও পড়ুন- মঙ্গলেও মাতৃশক্তির আরাধনায় মুখ্যমন্ত্রী
টানা বৃষ্টি ও ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে প্লাবিত হয়েছে পাহাড়-ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকা। রাজ্য সরকারের তৎপরতায় দুর্যোগ সামলে উত্তর পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। এখনও অনেক পরিবার রয়েছে সরকারি ত্রাণ শিবিরে। প্রশাসনের তরফে একদিকে যেমন ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। এরই মধ্যে দীপাবলির রাতে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান। মিজানুরের হাত থেকে প্রদীপ নিয়ে এক বৃদ্ধা তাঁকে বলেন, মা কালী তোমার মঙ্গল করুন বাবা। উপস্থিত অন্যদের চোখেও জল। মিজানুর বলেন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময়ই শিখিয়েছেন, মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত ধর্ম। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। তাই দীপাবলির এই আলো কেবল ঘর নয়, মনও আলোকিত করুক, সেই বার্তাই দিতে চেয়েছি আমি। যারা এই মুহূর্তে ত্রাণ শিবিরে আছেন, তাঁরা একা নন, তৃণমূল তাঁদের পরিবারের মতো পাশে রয়েছে। বন্যাদুর্গতদের সঙ্গে তাঁর এই দীপাবলি কাটানো রাজ্যের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মানবিকতার প্রতীক হয়ে উঠল। মিজানুর রহমানের এই উদ্যোগে আবারও প্রমাণিত হল, বাংলায় তৃণমূল মানেই মানুষের পাশে থাকা, উৎসবের আলো সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া।