প্রতিবেদন : বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অবাধে ত্রিপুরায় ঢুকছে জঙ্গিরা। দিন দুয়েক আগে আগরতলা স্টেশন থেকে তিন জঙ্গিকে ধরা হয়েছে। এরা ত্রিপুরা হয়ে ট্রেনে কলকাতায় আসার পরিকল্পনা করেছিল। শুধু তাই নয়, এরাজ্যে হামলার ছকও ছিল তাদের। এদের বাড়ি বাংলাদেশের নোয়াখালিতে। এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি আগরতলা স্টেশন থেকে ১০০ বাংলাদেশি ধরা পড়েছে। যাদের ভুয়ো পাসপোর্ট ছিল। এদের মধ্যে কয়েকজন রোহিঙ্গাও রয়েছে। ধরা পড়েছে বেশ কিছু দালালও। মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় ঢোকা জঙ্গিদের কাছে অনেক বেশি সহজ। এখানেই বিএসএফকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কী করছে অমিত শাহের বিএসএফ? কী করছেন শাহের মন্ত্রক? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই বা কী করছেন? প্রশ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের। বাংলা নিয়ে বিজেপি নেতারা কথা বলার আগে তাঁদের ত্রিপুরার দিকে তাকিয়ে দেখুন একবার। পরামর্শ তৃণমূলের। কারণ বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে একের পর এক জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় ঢুকেছে সেখান থেকে ট্রেন ধরে কলকাতায় ঢোকার চেষ্টা করছে। তাই নয়, সাত-আট বছর ধরেও অনেক জঙ্গি সেখানে ঘাঁটি বেড়ে রয়েছে। কিছু নতুন করে আবার ঢুকেছে। কী করছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার? সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব বিএসএফের। সেখানে বিএসএফের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা দরকার। ত্রিপুরায় ঘাঁটি গেড়ে সেখান থেকে কলকাতায় এসে হামলা চালানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা। এই ঘটনায় হইচই পড়ে গেছে। মঙ্গলবার এ-বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিজেপিকে তুলোধোনা করে বলেন, বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতারা যে কথাগুলো বলছেন, তা কতটা বিপজ্জনক তা আপনারা আজকের ত্রিপুরার দিকে তাকিয়ে দেখুন। বাংলাদেশ থেকে ঢুকেছে ত্রিপুরায়। সেখানে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল। ত্রিপুরা থেকে ট্রেন ধরছে কলকাতার জন্য। ত্রিপুরায় আগে ছিল সিপিএমের সরকার। এখন বিজেপির সরকার। কুণালের সংযোজন, কিছু গ্যাং নাকি সাত-আট বছর ধরে সেখানে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে। কিছু নতুন বেড়েছে। বাংলাদেশ থেকে লোক ঢুকছে ত্রিপুরায়। সীমান্ত রক্ষা করে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কলকাতা থেকে ট্রেন ধরে ত্রিপুরার দিকে রওনা হচ্ছে। ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। ধরা পড়েছে। তার সঙ্গে কতজন দালাল ধরা পড়েছে। এগুলো বিজেপি নেতারা দেখতে পাচ্ছে না? বাংলা নিয়ে বড় বড় কথা বলছে! সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব বিএসএফের। কেন্দ্রীয় সরকারের। আপনারা কেন ঠিকমতো পাহারা দিচ্ছেন না? বাংলাকে পরে বলবেন আগে ত্রিপুরার কৈফিয়ত দিন। এরপর যখন কলকাতা থেকে ধরা পড়বে তখন বলবে কলকাতা থেকে ধরা পড়েছে। কিন্তু ঘাঁটি গেড়ে লুকিয়ে আছে ত্রিপুরায়। এই রিপোর্ট আসছে আমরা খবর নিচ্ছি। বিরোধী দলনেতার এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা কোনওভাবেই উচিত না।
আরও পড়ুন-মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়নে নয়া নজির গড়ল বাংলার সরকার