জঙ্গিরা অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিল বেতাব ভ্যালিতে, তদন্ত রিপোর্ট

শুক্রবার এনআইএ-র পেশ করা প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। অদ্ভুত ব্যাপার, এসব নাকি কিছুই আগে জানা ছিল না স্বরাষ্ট্র দফতরের।

Must read

প্রতিবেদন: স্বরাষ্ট্র দফতর এবং গোয়েন্দা বিভাগের চরম ব্যর্থতা স্পষ্ট হল পহেলগাঁও হত্যালীলা বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে। প্রশ্ন উঠেছে, জঙ্গিদের এত বড় হামলার প্রস্তুতি বিন্দুমাত্র টের পেলেন না গোয়েন্দারা? পহেলগাঁওতে হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য জঙ্গিরা অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিল বেতাব ভ্যালিতে। হামলার প্রস্তুতি এবং হামলার সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল অন গ্রাউন্ড ওয়ার্কাররা।

আরও পড়ুন-পাকিস্তানিকে বিয়ে, পদক্ষেপ সিআরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে

শুক্রবার এনআইএ-র পেশ করা প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। অদ্ভুত ব্যাপার, এসব নাকি কিছুই আগে জানা ছিল না স্বরাষ্ট্র দফতরের। স্বরাষ্ট্র দফতরে পেশ করা এই রিপোর্টে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, পহেলগাঁওয়ের হামলার নেপথ্যে পাক সেনাবাহিনী, লস্কর-ই-তৈবা এবং আইএসআইয়ের ষড়যন্ত্র। হামলার সঙ্গে যুক্ত অন্যতম ২ জঙ্গি হাসিম মুসা এবং আলিভাই ওরফে তালহা ভাই-দু’জনেই পাকিস্তানের নাগরিক। যে সমস্ত স্থানীয় অন গ্রাউন্ড ওয়ার্কাররা হামলাকারীদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছে তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। প্রায় ১৫০ জনের বক্তব্য রেকর্ড করে থ্রিডি ম্যাপিং করা হয়েছে গোটা এলাকার। তারই ভিত্তিতে তৈরি করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, জঙ্গিরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে। এদিকে টানা আটদিন ধরে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ক্রমাগত কাশ্মীর সীমান্তে ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত একনাগাড়ে ভারতের একাধিক সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পাল্টা জবাব দিয়েছে দেশের সেনাও। দু’পক্ষের লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবে ভারতকে চাপে রেখে মেন্টাল গেম খেলতে চাইছে পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানকেই পালটা চাপে ফেলে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।

Latest article