প্রতিবেদন : শনিবার সকালে স্কুল শিক্ষা দফতরের পোর্টালে রাজ্যের নয়া শিক্ষানীতি (education policy) সম্পর্কিত তথ্য আপলোড করা হল। ১৭৮ পাতার নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে খবর। একমাস আগেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে রাজ্য শিক্ষানীতির খসড়া তৈরি করেছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। রাজ্য শিক্ষা নীতির খসড়া তৈরির জন্য একটি কমিটি গঠন করেছিল শিক্ষা দফতর। ওই কমিটি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে সুপারিশ পেশ করে। প্রস্তাবিত রাজ্যের খসড়া নীতিতে বলা হয়েছিল, অষ্টম শ্রেণির পর থেকে সেমিস্টার সিস্টেম চালু করা যেতে পারে। তাছাড়া উচ্চমাধ্যমিকে ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নের পাশাপাশি মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেন তথা এমসিকিউ ব্যবস্থা প্রবর্তনেও আগ্রহী উচ্চশিক্ষা দফতর। অবশেষে আজ সেই শিক্ষানীতি প্রকাশিত হল।
আরও পড়ুন-সাক্ষাৎকার: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমাবিশাল মিস্ত্রি
জাতীয় শিক্ষানীতির নামে আদতে বিজেপি সরকার নিজেদের অ্যাজেন্ডাই ঘুরপথে দেশে ছড়িয়ে দিতে চায়। ইতিহাস বদলে দেওয়ার যে খেলায় মোদি সরকার নেমেছে তাতে বাদ পড়ছে না পাঠ্যবইও। নতুন প্রজন্মকে বিজেপি জানতেই দিতে চায় না ভারতবর্ষের আসল ইতিহাস। তাই জাতীয় শিক্ষানীতি এমন এক খুড়োর কল যেখানে স্কুল পড়ুয়ারা জানবে সেটাই যা বিজেপি জানাতে চায়। এভাবেই একটু একটু করে মুছে যাবে ভারতবর্ষের অতীত ঐতিহ্য। অতীতের জাতীয় নায়করা। যাতে নতুন নায়ক হিসেবে পূজিত হন ৫৬ ইঞ্চির প্রধানমন্ত্রী। একে বলে আচ্ছে দিন।