প্রতিবেদন : আজ, সোমবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের হুমকি যে সরকার মোটেই ভাল চোখে দেখছে না তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আলু রফতানির উপর রাশ টানতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যথার্থ সিদ্ধান্ত। না হলে আলুর দাম প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা ছাড়াবে। লুকিয়ে রাজ্যের বাইরে আলু পাঠাতে গিয়ে শনিবার রাতেই বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে ৫১০ ব্যাগ আলু ধরা পড়ে। চালানে লেখা প্লাস্টিক ব্যাগ আর ভিতরে আলু। রাজ্য সীমান্ত পেরনোর বিভিন্ন জায়গায় চলছে কড়া পুলিশি নজরদারি। আলু ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে হিমঘরে আলু সংরক্ষণের সময়সীমা রাজ্য বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করেছে।
আরও পড়ুন-আরও সন্ন্যাসী গ্রেফতার, বাধা ফিরতেও, কেন কেন্দ্র সক্রিয় নয়, আক্রান্ত সাংবাদিকও
উত্তরবঙ্গে হিমঘরে কুইন্টাল প্রতি ১৯.১১ টাকা এবং দক্ষিণবঙ্গে ১৮.৬৬ টাকা এর জন্য বাড়তি গুনতে হবে। বেচারাম বলেন, ৪০-৫০ জন আলু ব্যবসায়ী বাড়তি মুনাফার জন্য রাজ্যকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে। এই ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, গতবারের চেয়ে চলতি বছরে ৪ লক্ষ মেট্রিক টন আলু কম উৎপাদিত হয়েছে। রাজ্যে রোজ প্রয়োজন ১৮ হাজার মেট্রিক টন আলু। এর মধ্যে ৫ হাজার মেট্রিক টন শুধু কলকাতার জন্য। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এবছর আলু চাষ ১৫ দিন পিছিয়ে গিয়েছে। হিমঘরে মজুত আলু দিয়ে বড়জোর ১৫ দিন চলবে।