জলস্বপ্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক করলেন মন্ত্রী পুলক রায়, ২০২৪-এ সব বাড়িতে পরিস্রুত জল

প্রতিটি এলাকার কাজের ক্ষেত্রেই সময়ভিত্তিক পর্যালোচনা, নতুন কোনও প্রযুক্তির প্রয়োজন রয়েছে কিনা বৈঠকে সেই বিষয়েও আলোচনা হয়।

Must read

সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায় : জলস্বপ্ন প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল সংযোগে চা-শ্রমিকদের বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের সার্কিট হাউসে উত্তরবঙ্গের ৩ জেলা জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে জলস্বপ্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায়। ছিলেন দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন-লোকনাথ তিরোধান দিবসে চাকলায় উপচে পড়া ভিড়

বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের মধ্যে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে যাবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। বাংলা জুড়েই এই কাজ চলছে। এদিনের বৈঠকে উত্তরবঙ্গের এই তিন জেলার কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখলাম। যথেষ্ট সন্তোষজনকভাবেই এখানেও জলস্বপ্ন প্রকল্পের কাজ চলছে।’’ প্রতিটি এলাকায় কতটা কাজ এগিয়েছে, কাজের ক্ষেত্রে কোথাও কোনও অসুবিধা রয়েছে কি না তা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চান মন্ত্রী পুলক রায়।

আরও পড়ুন-নজরুল গ্রেফতার

গত মে মাসে কোচবিহার জেলা লক্ষ্যমাত্রার ৯৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ পূরণ করলেও আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলা লক্ষ্যমাত্রার যথাক্রমে ৫৯.৭৬ শতাংশ ও ৭৫.৩৪ শতাংশ পূরণ করে। চলতি জুন মাসে তিন জেলাতেই লক্ষ্যমাত্রার ১০০ শতাংশ পূরণ করতে এখন থেকেই জোরকদমে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। প্রতিটি এলাকার কাজের ক্ষেত্রেই সময়ভিত্তিক পর্যালোচনা, নতুন কোনও প্রযুক্তির প্রয়োজন রয়েছে কিনা বৈঠকে সেই বিষয়েও আলোচনা হয়। গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে চা-শ্রমিকদের যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বৈঠকে সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দেন মন্ত্রী।

Latest article