জঙ্গলমহলের চিড়িয়াখানায় আজ মন্ত্রী, সূচনা করবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সৃষ্টিশ্রী স্টল

উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের খয়রাপাড়া রেসকিউ সেন্টার থেকে মার্চে চিতাবাঘ ‘পলাশ’-কে আনা হয়। এতদিন তাকে পার্কে আলাদা করে রাখা হয়েছিল।

Must read

প্রতিবেদন : নববর্ষের মুখে ঝাড়গ্রামের সবুজ অরণ্যের মাঝে গড়ে তোলা জনপ্রিয় মিনি চিড়িয়াখানা জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কের আকর্ষণ আজ, সোমবার থেকেই আরও বাড়ছে। পর্যটকদের জন্য নয়া আকর্ষণ চিতাবাঘ ‘পলাশ’ ও ভল্লুক ‘বল্লু’ ছাড়াও তালিকায় নতুন সংযোজন ডায়মন্ড ডাভ, লাভ বার্ড ও ব্ল্যাক ভালচার পাখি। সেই সঙ্গে চালু হবে সৃষ্টিশ্রী স্টল। বন বিভাগের এই গুচ্ছ উপহারে খুশি জেলাবাসী। ঝাড়গ্রামের বনপাল উমর ইমাম জানান, মাসখানেক আগে জুলজিক্যাল পার্কে পূর্ণবয়স্ক একটি চিতাবাঘ ও ভল্লুক বাইরে থেকে আনা হয়। সঙ্গে নতুন প্রজাতির কিছু পাখিও ছিল। চিতাবাঘের জন্য নতুন খাঁচা তৈরি হয়েছে। সোমবার থেকেই পর্যটকেরা এই পার্কের নতুন অতিথিদের দেখতে পাবেন। একের পর এক বন্যপ্রাণী এনে এখানকার পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ানোয় সচেষ্ট পার্ক কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন-নীলকুঠি হেরিটেজ হোক চায় পঞ্চায়েত

উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের খয়রাপাড়া রেসকিউ সেন্টার থেকে মার্চে চিতাবাঘ ‘পলাশ’-কে আনা হয়। এতদিন তাকে পার্কে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। বাঁকুড়া থেকে উদ্ধার হওয়া ভাল্লুক ‘বল্লু’-কেও আনা হয় এই পার্কে। নতুন গড়া খাঁচায় নয়া অতিথিদের রাখা হবে দর্শকদের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে। একই সঙ্গে দেখা মিলবে ডায়মন্ড ডাভ, লাভ বার্ড ও ব্ল্যাক ভালচার পাখিদেরও। পাশাপাশি বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এই পার্কে সোমবারই সৃষ্টিশ্রী স্টলেরও উদ্বোধন করবেন। সেই স্টলে মিলবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে তৈরি নানা জিনিস। প্রসঙ্গত, এখানে এনে উদ্ধার করা বন্যপ্রাণীদের শুশ্রূষা ছাড়াও প্রজননের ব্যবস্থা হচ্ছে। তারপর এখান থেকে তাদের রাজ্যের অন্য চিড়িয়াখানায় পাঠানো হচ্ছে। গরমের সময় বন্যপ্রাণীদের গুড়জল, ওআরএস, শসা, তরমুজ, পেয়ারা ও অন্যান্য ফল দেওয়া হচ্ছে। মাংসাশী প্রাণীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে প্রয়োজনমতো মাংস দেওয়া হচ্ছে। তাদের খাঁচায় খড়ের ছাউনি লাগানো হয়েছে। পার্কে পর্যটকদের বসার জায়গাতেও শেড দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের এক কর্তার কথায়, ভিন্ন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার জন্য চিতাবাঘ, ভল্লুক ও পাখিগুলিকে এতদিন আলাদা করে রাখা হয়েছিল। এখন ওরা এই পার্কের পরিবেশের সঙ্গে অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছে। এই পার্কে এখন ১৬টি ভিন্ন প্রজাতির ১৮৭টি স্তন্যপায়ী, ১২টি প্রজাতির ১৫৩টি সরীসৃপ, ১৮টি প্রজাতির ৭৪টি পাখি আছে। রেড মুনিয়া, গোল্ডেন ওরিওলে, গ্রিন বি-ইটার, ক্রোফেজেন্ট, পারপেল নাইট হেরনের সঙ্গে এবার দেখা যাবে ডায়মন্ড ডাভ, লাভ বার্ড ও ব্ল্যাক ভালচারকেও।

Latest article