শান্তনু বেরা, কাঁথি : জমা জল নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। দুই মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকার বাঁধ কেটে জমা জল বের করার যে পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন, স্থানীয় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে সেই কাজে বাধা দিচ্ছে তারা। বহু জায়গায় মাছ ধরার জাল পেতে রাখার জন্য জল আটকে আছে। সেচ দফতরের জায়গাতে বেআইনি ইটভাটা, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধ মাছের ভেড়ি তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন –“আপনার একটি ভোট আমার কাছে একটি চন্দ্র, সূর্য, তারা, গ্রহ, তারা! চেতলায় নস্টালজিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সব কিছু খতিয়ে দেখে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কয়েকদিন ধরে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জলভাসি এলাকা ঘুরে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করছেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। পরে মন্ত্রী জানান, দুই মেদিনীপুরের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দেব। বঙ্গোপসাগরে জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে আরও বৃষ্টি হলে দুই মেদিনীপুরের পরিস্থিতি যাতে জটিল না হয় সে বিষয়ে আগেভাগেই সতর্ক প্রশাসনও। বুধবার সেচমন্ত্রী চণ্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে এলাকার বিধায়ক ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী ও পঞ্চায়েত কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। এগরাতে বৈঠক করেন বিধায়ক তরুণকুমার মাইতি ও পঞ্চায়েত কর্তাদের নিয়ে।
আরও পড়ুন –দার্জিলিংয়ে ৩৩ হাজার টিকা
পিংলা পঞ্চায়েত সমিতিতে বৈঠক করেন মঙ্গলবার। বৈঠকে ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতি। এরপর পিংলা ব্লকের জলমগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। মেদিনীপুর সদরের মহাতাবনগর এলাকায় বাঁধ পরিদর্শনে যান জেলাশাসক রেশমি কমলকে নিয়ে। খড়গপুর গ্রামীণ বিডিও অফিসে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠানো হয়েছে নদীবাঁধ ভেঙে যাওয়া এলাকায়। দুই মেদিনীপুরের জলভাসি পরিস্থিতির জন্য সেচমন্ত্রী দায়ী করেন মাছের ভেড়ি এবং ইটভাটাকে। এর ফলেই রাস্তায় একহাঁটু জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য তাঁর।
আরও পড়ুন –‘অভিষককে আটকাতে ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা করেছে, বিজেপি আসলে জুমলা পার্টি’ ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কীভাবে বেআইনি ভেড়ি গজিয়ে উঠল, কে এদের অনুমোদন দিল, প্রশাসনিক বৈঠকে খোঁজখবর নিচ্ছেন। বুধবার তিনি বলেন, পটাশপুর ও ভগবানপুরে ধানচাষ ও মাছচাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৯০ শতাংশ বাড়ি জলমগ্ন। সেখানে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। এগরার সাহারা ও বাধিয়া, রামনগরের বাখারপুর, বারবাটিয়া, কাণ্ডগ্রাম, কাঁথি ৩ ব্লকের একাংশ, খেজুরি ও নন্দীগ্রামের একাংশ জলের তলায়। ফের বৃষ্টিতে জল বাড়ছে পিংলা, সবং, ডেবরা, শালবনি, মেদিনীপুর ও খড়্গপুরে। সর্বত্র ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে সরকার। জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া সবং, পিংলায় ত্রাণের নির্দেশ দিয়েছেন।