ব্যুরো রিপোর্ট: প্রবল বৃষ্টি আর সিকিম ও ভুটানের নদীর জলে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরের পাহাড় থেকে সমতল। যদিও প্রশাসনের তৎপরতায় দ্রুত ছন্দে ফিরছে। আবহাওয়া উপেক্ষা করে উত্তরে ছুটে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পৌঁছে গিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এবং ত্রাণ শিবিরেও। সমস্যার সমাধান করেছেন দুর্গতদের। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার ধূপগুড়ির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখে প্রত্যেকের খোঁজ খবর নেন মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন-জুবিনের মৃত্যুতে পুলিশের জালে গায়কের পুলিশ অফিসার ভাই
মন্ত্রী দুর্গতদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, আপনাদের যেসব সমস্যা রয়েছে সবকিছু আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরব। তিনি নিজে নজর রাখছেন উত্তরবঙ্গের প্রতিটি বন্যাকবলিত অঞ্চলের ওপর। আপনাদের ঘরবাড়ি মেরামত, খাবার, ওষুধ সবকিছুই রাজ্য সরকার নিশ্চিত করবে। এদিকে, বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে প্রতিদিনই ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। বুধবার দুধিয়া ব্রিজ সংলগ্ন অঞ্চলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন সাংসদ শান্তা ছেত্রী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে তুলে দেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী। ছিলেন তনয় তালুকদার, নির্ণয় রায়-সহ অন্যান্য সদস্যরা। একই দিনে নাগরাকাটা বামনডাঙায় পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বিজন সরকারের উদ্যোগে ৫০০ জন সাধারণ মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়া হয়। এছাড়াও নাগরাকাটা ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকা বামনডাঙা ও টন্ডু চা-বাগান এলাকায় ত্রাণ শিবিরে যান জেলা শাসক শমা পারভিন, জেলা পুলিশ সুপার উমেশ গণপত খান্ডেবহালে, মাল মহকুমা শাসক শুভম কুন্ডল সহ একাধিক আধিকারিক। ত্রাণ শিবিরে দুপুরে রান্না করা খাবার পরিবেশনের সময় দেখা যায় জেলা পুলিশ সুপার নিজেই খিচুড়ির বালতি হাতে নিয়ে দুর্গতদের খাবার তুলে দেন। অন্যদিকে জেলাশাসক শমা পারভিন জেসিবিতে চেপে দুর্গম এলাকায় ঢুকে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।