প্রতিবেদন : রাজ্য পুলিশের হাত-পা না বাঁধলে তারাই শাহজাহানকে গ্রেফতার করে দেখাত, সাফ কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শাহজাহান ইস্যুতে সরাসরি বিচারব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিলেন, বিজেপিকে ফুটেজ দিতেই সন্দেশখালি মামলার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
আরও পড়ুন-যারা বঞ্চিত করেছে তাদেরকে ক্ষমা নয়, একনজরে অভিষেক
অভিষেকের প্রশ্ন, কেন, সিট তো হয়েছিল! কে স্থগিতাদেশ চেয়েছে? ইডি স্থগিতাদেশ চেয়েছে। পুলিশ চায়নি। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ইডির দাবি মেনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। যাতে বিজেপি ১৫ দিন ধরে ফুটেজ খেতে পারে। রাজ্য পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। তাহলে কেন রাজ্য পুলিশের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে বারবার। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল সুদীপ্ত সেনকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্যের পুলিশই। তার এখনও ট্রায়াল শুরু করতে পারেনি ইডি। আর শেখ শাহজাহানকে যদি কেউ গার্ড করে, তা হল বিচারব্যবস্থা। হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ তুলে দিক, তারপর যদি পুলিশ গ্রেফতার না করতে পারে, তখন বলবেন। সুদীপ্ত সেনের গ্রেফতারের পর ইডিকে ১২ বছর সময় দিতে পারেন, পুলিশকে ১২ দিন সময় দিতে পারছেন না? প্রশ্ন অভিষেকের।
আরও পড়ুন-মামলার তালিকায় স্বচ্ছতার পক্ষে সওয়াল
অভিষেকের সাফ কথা, যত বড় নেতাই হোন, কেউ পার পাবেন না। মানুষের সঙ্গে অন্যায় করলে, তাকে শাস্তি পেতেই হবে। কেউ অন্যায় করলে পুলিশ কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে। আর বিচার চাইতে মানুষ তাঁর কাছেই যান, যাঁর কাছে গেলে তিনি বিচার পাবেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মানুষ আসছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারেন সুবিচার দিতে। আমরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রেয়াত করিনি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও রেয়াত করিনি। অন্যায় করলে তৃণমূল কাউকে ছাড়বে না। এরপর তিনি বলেন, গদ্দার অধিকারী তো ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন, হিমন্ত বিশ্বশর্মাও পালিয়ে বেঁচেছেন। দল বদলে বিজেপিতে গিয়েছেন গদ্দারও। তাঁর সঙ্গে তো শাহজাহানের বহু ছবি রয়েছে। তখন তৃণমূলে ছিলেন বলে না হয় কিছু বলতে পারেননি, কেন একুশে বললেন না, কেন বাইশে বা তেইশে বললেন না। বলেছিলেন, সুপ্রতিম সরকারের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেব, ৭২ ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে, ব্যবস্থা নেননি কেন। আসলে উনি সকালে কী বলেন, বিকেলে তার ঠিক থাকে না। বিজেপির রাজনীতি ইডি, সিবিআই আর হাইকোর্টকেন্দ্রিক আর আমাদের রাজনীতি মানুষকেন্দ্রিক। অভিষেক বলেন, ব্রিগেড সমাবেশ হয়ে গেলে সন্দেশখালি যাব। স্বাভাবিক পরিস্থিতি হলে তারপরই সন্দেশখালিতে সভা করা উচিত।