মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ভোপালে (Bhopal) ১৬ বছরের নাবালিকাকে অপহরণ করে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ২৫শে নভেম্বর নাবালিকাকে ‘জননি এক্সপ্রেস’ নামের সরকার পরিচালিত একটি অ্যাম্বুলেন্সে রাস্তা থেকে জোর করে তোলা হয়। এরপর তাকে দু’জন যুবক মিলে ধর্ষণ করে। সেখানেই শেষ নয়, তাকে সেখানেই আটকে রাখা হয় বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
আরও পড়ুন-আজমির শরিফ নিয়ে আদালতে মামলা, নোটিস কেন্দ্রের কাছে
সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন নির্যাতিতা। অসহায় অবস্থায় পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। তার সঙ্গে কী ঘটেছে জানায় পুলিশকে। পুলিশ তাঁকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠায়। রিপোর্টে গণধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ‘জননি এক্সপ্রেস’ সরকার পরিচালিত একটি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। বিশেষত প্রসূতি, অসুস্থ বাচ্চা এবং সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষদের এর মাধ্যমে এই পরিষেবা দেওয়া হয়। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্তের নাম বীরেন্দ্র চতুর্বেদী। সেই ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও তার সঙ্গে ছিল তার বন্ধু রাজেশ কেওয়াত।
আরও পড়ুন-ঝাড়খণ্ডে স্কুলের ভেতর প্রধান শিক্ষিকাকে গুলি শিক্ষকের
ঘটনার পর নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে নাগারি এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে নারী সুরক্ষা তলানিতে সেই নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। তিন দিন আগে মধ্যপ্রদেশে ১৬ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। জঙ্গলের মধ্যে ওই নাবালিকাকে তিন জন মিলে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত একজন এখনও পলাতক। স্বাভাবিকভাবেই পরপর নারকীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে রাজ্যজুড়ে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কীভাবে সরকার পরিচালিত অ্যাম্বুল্যান্সে এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা নিয়েও থাকছে প্রশ্নচিহ্ন।