প্রতিবেদন : ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতন (Rape) যেন ছায়াসঙ্গী হয়ে উঠছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর। স্পষ্টতই গেরুয়া প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এই ধরনের পাশবিক ঘটনা। প্রমাণিত হচ্ছে তাদের প্রশাসনের অপদার্থতা। আবার রাজস্থান,আবার মহারাষ্ট্র, আবার যোগীরাজ্য— একটার পর একটা নাবালিকা ধর্ষণ, গণধর্ষণের ঘটনা। লজ্জা নেই বিজেপির। রাজস্থানের যোধপুরে সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই গণধর্ষণের শিকার হল ১৫ বছরের এক কিশোরী। দু’জন অভিযুক্তর মধ্যে একজন ওই হাসপাতালেরই প্রাক্তন কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে মহাত্মা গান্ধী হাসপাতাল চত্বরে। নাবালিকাকে একা ঘুরতে দেখে তাকে লোভ দেখিয়ে বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট সেকশনের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই দু’জন। চাপে পড়ে দু’জনকেই অবশ্য আটক করেছে পুলিশ। আরও একটা ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের সেই বদলাপুরেই। যেখানে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের টয়লেটে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল দুটি ছোট্ট মেয়ে। এবারে সেই বদলাপুরেই নিজের ১৬ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ এবং মারধরের অভিযোগ উঠল তার ৫৪ বছরের বাবার বিরুদ্ধে। এখনও অধরা সেই অভিযুক্ত। সবচেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা যোগীরাজ্যের অযোধ্যায়। মহারাজগঞ্জ গ্রামের এক ৪ বছরের দলিত শিশুকে ধর্ষণ করে এক যুবক। সোমবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হওয়া শিশুটিকে পরে উদ্ধার করা হয় গুরুতর জখম অবস্থায়। ৮ ঘণ্টা পরে পুলিশ এনকাউন্টার করে গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে। এখানেই শেষ নয়, যোগীরাজ্যের পুলিশের অপদার্থতার রয়েছে আরও এক জ্বলন্ত প্রমাণ। ৪ নাবালিকা-সহ মোট ৬ জনকে ধর্ষণে (Rape) অভিযুক্ত ৩৭ বছরের এক ব্যক্তিকে এখনও ছুঁতে পারেনি মীরাটের পুলিশ।
আরও পড়ুন- ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের বৈঠক, শুরু হল চিকিৎসকদের নিরাপত্তার রূপরেখা