প্রতিবেদন : চিনে সংখ্যালঘুদের দাসে পরিণত করা হয়েছে। বেজিংয়ের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল রাষ্ট্রসঙ্ঘ (United Nations)। রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞদের তৈরি এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, চিনের জিনজিয়াং অঞ্চলে কৃষি ও উৎপাদনের মতো ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের বলপূর্বকভাবে শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জিনজিয়াংয়ে ১০ লক্ষেরও বেশি উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের আটক করে শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে। পাশাপাশি সংখ্যালঘু মহিলাদের বলপূর্বক বন্ধ্যাত্বকরণে বাধ্য করা হচ্ছে। ওই রিপোর্টে এই ঘটনাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আমেরিকা ও অন্যান্য পশ্চিমি দেশগুলির আইনসভার সদস্যদের অভিযোগ চিনে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। তবে যথারীতি এ-ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বেজিং।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে রাজনীতির পর্দা ফাঁস
রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) বিশেষ প্রতিনিধি তোমোয়া ওবোকাতারের নেতৃত্বাধীন এক কমিটি এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেখানেই বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার নামে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সংখ্যালঘুদের নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর কর্মসংস্থানের নামে তাদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের জোর করে তৃতীয় স্তরের কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এর ফলে সংখ্যালঘুদের কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং আয় বাড়ার সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও সম্প্রদায়কে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা অনৈতিক। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, তিব্বতেও একই ধরনের পরিস্থিতি চলছে। সেখানে কৃষক, পশুপালক এবং অন্যান্য গ্রামীণ কর্মীদের কম বেতনে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, জিনজিয়াংয়ে বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করে বেজিং। গতমাসেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এই অঞ্চলে গিয়ে সরকারের সংস্কার ও উন্নয়নের প্রশংসা করেন।