প্রতিবেদন : বাংলাদেশে অব্যাহত খুন-জখম-রাহাজানি! লাগাতার চলছে ভারত-বিরোধী যুদ্ধজিগিরও। ক্রমাগত ভারতের উদ্দেশ্যে হাস্যকর ফাঁকা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে জামাত ও বিএনপি। ক্রমাগত সংখ্যালঘুদের প্রতি অত্যাচারে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের সংখ্যা বাড়ছে। আর সেই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ কেন্দ্রের সীমান্তরক্ষা বাহিনী। বৃহস্পতিবারও নদিয়ার সীমান্ত এলাকা হাঁসখালি-ধানতলা থেকে রানাঘাট পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১০ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে। ধরা পড়েছে ৫ ভারতীয় দালালও।
আরও পড়ুন-কথা রাখলেন, সন্দেশখালি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জানালেন আগামী কর্মসূচি
শুধু বাংলাই নয়, মহারাষ্ট্রেও ধরা পড়েছে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের মুম্বই, নবি মুম্বই, থানে, নাসিকে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ ও এটিএস। এভাবেই বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের আড়ালে ভারতে ঢুকে পড়ছে জঙ্গিরাও। এই নিয়ে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দলে-দলে ত্রিপুরায় ঢুকেছে। অসমে সন্ত্রাসবাদের ট্রেনিং চলছে। সীমান্তে পাহারা দিতে ব্যর্থ কেন্দ্রের বিএসএফ। অসম সরকার, ত্রিপুরা সরকারও একইভাবে ব্যর্থ। সেখানেও বাংলাদেশিরা ঢুকছে, রোহিঙ্গা ঢুকছে, ট্রেনিং চলছে। সেখান থেকে তারা বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন-ধ.র্ষণে বাধা দেওয়ায় আট বছরের শিশুকে খু.ন বারাণসীতে
এদিকে, রাতের অন্ধকারে বিধ্বংসী আগুন লেগেছে ঢাকার সচিবালয়ে। বুধবার রাত প্রায় ২টো নাগাদ ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকায় অবস্থিত সচিবালয়ের ৭নং ভবনে আগুন লাগে। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে ক্রীড়া, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি, শ্রম ও কর্মসংস্থান, অর্থ, সড়ক পরিবহণ-সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রকে। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে প্রচুর নথিপত্র। ঘণ্টাপাঁচেকের চেষ্টায় দমকলের ১৯টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা নাকি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। কারণ খুঁজতে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজে বের করবে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি অকথ্য অত্যাচারের শেষ নেই। শুধু হিন্দুরাই নয়, বড়দিনের আগের রাতে বাংলাদেশে আক্রান্ত ত্রিপুরার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও। বান্দরবানের তংঝিরি ত্রিপুরা পাড়ায় রাতের অন্ধকারে খ্রিস্টানদের কমপক্ষে ১৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এলাকায় কোনও গির্জা না থাকায় অন্য পাড়ায় বড়দিন উদযাপন করতে গিয়েছিলেন বাসিন্দারা। ফলে অগ্নিসংযোগে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।