প্রতিবেদন: ক্ষমতার লোভে ন্যায়নীতি বিসর্জন দিয়ে বারেবারে শিবির বদল করা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার দাবি করে থাকেন, তাঁর জমানায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাকি অনেক উন্নতি হয়েছে। অথচ ভোটের মুখেই মাথায় গুলি করে খুন করা হল তাঁরই দলের এক নেতাকে। লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠল বিহার। বিহারের পাটনায় গুলি চালিয়ে খুন করা হল জনতা দল ইউনাইটেড-এর এক নেতাকে। তাঁর সঙ্গে থাকা আরেকজনও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর।
আরও পড়ুন-বিজেপির বিরুদ্ধে ছাত্র-যুবদের ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা নেতৃত্বের
ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সে রাজ্যে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে দলীয় নেতার এমন বিপদের খবর কানে আসার পরেও নীতীশ কুমার কিন্তু গেলেন না দলের নেতাকে দেখতে। হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন প্রতিদ্বন্দ্বী দল আরজেডি-র নেত্রী তথা লালু-কন্যা মিশা ভারতী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিহারে। বুধবার রাতভর অবরোধ-বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয়রা। অধরা আততায়ীরা। আশ্চর্যজনকভাবে, কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি নীতীশ কুমারেরও। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে তাঁর অদ্ভুত নীরবতা নিয়ে।
আরও পড়ুন-ভোটার ৫ জন, বরফঘেরা চূড়ায় ভোটকেন্দ্র
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম সৌরভ কুমার। জেডিইউ-এর যুব নেতা ছিলেন। বুধবার রাতে তিনি পাটনায় একটি অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে এক যুবকও ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন আচমকাই বাইকে চেপে চড়াও হয় চার যুবক। পথ আটকে দাঁড়ায় তারা। এরপর আচমকাই যুব নেতার মাথায় পরপর দুটি গুলি চালায়। সঙ্গে থাকা আরেক যুবককে লক্ষ্য করেও তিনটি গুলি চালায় অভিযুক্তরা। এরপরই ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট যায় অভিযুক্তরা। এরপর তড়িঘড়ি সৌরভ ও তাঁর সঙ্গীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা সৌরভকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর সঙ্গীর তিনটি গুলি লেগেছে। তাঁর অবস্থাও সঙ্কটজনক বলেই জানা গিয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে ঠিক কাদের হাত রয়েছে তা স্পষ্ট নয়। রাজনৈতিক কারণে না ব্যাক্তিগত কারণে এই খুন তা জানার জন্য শুরু হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত