সংবাদদাতা, সাগরদিঘি : স্বয়ং প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী যে সাগরদিঘি নিয়ে রাজ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন, বৃহস্পতিবার তাঁর অবস্থান বিক্ষোভেই গরহাজির দলের বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও অন্য সরকারি প্রকল্পের প্রাপ্য টাকার দাবিতে বিডিও অফিসের সামনে অধীর অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন। সেই মঞ্চে দেখা গেল না সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে। বেলা ১১টা থেকে ব্লক অফিসের সামনে যখন কর্মীরা গলা ফাটাচ্ছেন তখন বিধায়কের অনুপস্থিতি নতুন জল্পনা উস্কে দিল। বায়রনের ফোন গোটা দিন বন্ধ থাকায় প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন-আয়ারল্যান্ডের আলোয় সাজল ধনধান্য স্টেডিয়াম
অভিযোগ, ২ মার্চ উপনির্বাচনে বায়রন জয়ী হওয়ার পর সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না মানুষ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিধবাভাতা ও অন্য অনুদান দেওয়ার দাবিতে বহরমপুর থেকে দলে দলে বিক্ষোভমঞ্চে উপস্থিত হন। বিকেল পর্যন্ত মঞ্চে অধীর ঠায় বসে থাকলেও বিধায়কের টিকি পাওয়া যায় না! জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান বিধায়ক কানাই মণ্ডল বলেন, ১০০ দিনের বকেয়া টাকার দাবিতে বা আবাস যোজনার কাজ থমকে থাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে কী রাজ্যে আর কী কেন্দ্রে, প্রতিবাদ নেই কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন-তপসিয়ায় বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের
সাগরদিঘিতে নাটক না করে দিল্লির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত। ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কংগ্রেস বিধায়ক জানেন, সাগরদিঘিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা অনেকেই পেয়ে গিয়েছেন, বাকিরা কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। তাই দলের ফালতু ধর্নামঞ্চে যোগ দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।