সংবাদদাতা, বসিরহাট : ডানা আসার আগে বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ এলাকার একাধিক বাঁধ পরিদর্শন করেন বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন বিডিও ও পুলিশ আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ডানা’র প্রভাব একটু একটু করে বাড়তে থাকে। ডানা ঝাপটা মারার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত নদীবাঁধের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে বের হন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন-নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিয়োগে ছাড় মুখ্যমন্ত্রীর
উত্তর ২৪ পরগনার সব ফেরিঘাটেই ভেসেল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিন একাধিক নদীবাঁধ পরিদর্শন করেন বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল, হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও দেবদাস গঙ্গোপাধ্যায়, হিঙ্গলগঞ্জ থানার ওসি উৎপল প্রামাণিক, ব্লক সভাপতি শহিদুল্লাহ গাজি। যেসব বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছিল সেই সব বাঁধের দিকে বিশেষ করে নজর দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ঝড়ের তাণ্ডবে কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি বা রাস্তার উপরে তার ছিঁড়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তা সরানোর জন্য বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রায়মঙ্গল ও কালিন্দীর মতো যেসব নদীর বাঁধগুলি দুর্বল সেইগুলো সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তাঁরা। অন্যদিকে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের ইতিমধ্যে রিলিফ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।