গ্রামবাসীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে বিধায়ক নিয়েছেন উদ্যোগ, প্রায় দেড় কোটিতে পাকা সেতু গড়ছে রাজ্য

কৃষ্ণনগরের গুরগুরিয়া নদীর উপর ১০০ বছরের পুরনো ভগ্নপ্রায় কাঠের সেতু পাকা করা হচ্ছে সেচ দফতরের বরাদ্দ ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায়

Must read

প্রতিবেদন : কৃষ্ণনগরের গুরগুরিয়া নদীর উপর ১০০ বছরের পুরনো ভগ্নপ্রায় কাঠের সেতু পাকা করা হচ্ছে সেচ দফতরের বরাদ্দ ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায়। ফলে কাঁচা সেতুর উপর দিয়ে ঝুঁকির পারাপারের দিন শেষ হবে নাকাশিপাড়া ব্লকের মুড়াগাছা এবং কৃষ্ণনগর ২ ব্লকের সাধনপাড়ার কয়েক হাজার মানুষের। যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভাল হতে চলায় উপকৃত হবেন দুই গ্রামের মানুষ। সম্প্রতি এই কাজের শিলান্যাস করেন নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ।‌ বিধায়কের প্রস্তাব ও উদ্যোগেই এই সেতুর কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। বিধায়ক বলেন, এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মুড়াগাছার কাঠের ব্রিজটিকে পাকা করার। এই সেতু দিয়ে আশপাশের গ্রামের বহু মানুষ যাতায়াত করেন। তাই বছর দুই আগে এখানে পাকা সেতু বানানোর প্রস্তাব দিই। সেইমতো সেচ দফতর এই পাকা সেতু বানাচ্ছে।‌ দ্রুত কাজ শেষ হবে।

আরও পড়ুন-স্বল্পদৈর্ঘ্যে কল্পনির্ঝর

প্রসঙ্গত, নাকাশিপাড়া ব্লকের মুড়াগাছা পঞ্চায়েতের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গুরগুরিয়া নদী বর্তমানে খালে পরিণত হলেও তার উপরেই থাকা ১০০ বছরের পুরনো শাল কাঠ দিয়ে বানানো সেতুটি আশপাশের গ্রামের মানুষের যাতায়াতের বড় ভরসা। কিন্তু বহু পুরনো কাঠের সেতুটি প্রায় বেহাল হয়ে পড়েছিল। সেতুটির ধারের একাংশ ভেঙে পড়ে। তার ওপর দিয়ে চারচাকা গাড়ি যেতে পারে না। হাঁটাচলাও ছিল বিপজ্জনক।‌ যে কোনও সময় কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ছিল গ্রামবাসীর। অথচ, এটি মুড়াগাছার আশপাশের গ্রামের মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষ্ণনগর ২ ব্লকের সাধনপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এটি। এই পঞ্চায়েতের রাখালগাছি, বামুনপাড়া এলাকার মানুষ যাতায়াতে এই ব্রিজের উপর নির্ভরশীল। ব্রিজের ভগ্নপ্রায় দশা দেখে পাকা করার দাবি জানান এলাকাবাসী। সেইমতো বিধায়ক কল্লোল খাঁ ব্রিজটি পাকা করার উদ্যোগ নিয়ে সেচ দফতরে প্রস্তাব পাঠান। সম্প্রতি তাতেই অনুমোদন মিলেছে। সেচ দফতরের আধিকারিক স্বপন বিশ্বাসের কথায়, কাঠের ব্রিজের পরিবর্তে পাকা সেতু হচ্ছে। কাজ শুরু হয়েছে। এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে।

Latest article