প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বাঁশদ্রোণীর নবনীড় (Navanir in Bansdroni) বৃদ্ধাশ্রমে আনন্দে মাতলেন মন্ত্রী ও তারকারা। মহাধুমধাম করে হল ভাইফোঁটা। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এখানকার বিধায়ক (টালিগঞ্জ বিধানসভা)। নেত্রীর নির্দেশে তিনিই সব আয়োজন করেছিলেন। উপস্থিত ছিলেন টালিগঞ্জের তারকারাও। ভাইফোঁটা তো ছিলই, সঙ্গে বাড়তি পাওনা এলাহি খাওয়া-দাওয়া, নাচ-গান। নবনীড়ের প্রত্যেক আবাসিক বৃদ্ধাকে শাড়ি উপহার দিয়েছেন অরূপ। নিজে হাতে তাঁদের খাবার পরিবেশন করেছেন। সবশেষে আবাসিকদের সঙ্গে নাচে-গানেও শামিল হয়েছিলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: চার বিধায়ক কিনতে তেলেঙ্গানায় বিজেপির ‘অফার’, কী বলবে বাংলা বিজেপি
বছরের এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন এখানকার আবাসিকরা। ভাইফোঁটার দিন এই আনন্দ-উৎসব তাঁদের সারা বছরের রসদ হয়ে মনের মণিকোঠায় জ্বলজ্বল করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান। নবনীড়ের (Navanir in Bansdroni) বৃদ্ধারা সকলে ফোঁটা দেন অরূপ বিশ্বাসকে। সঙ্গে দিলেন অকুণ্ঠ আশীর্বাদ-আদর। ফোঁটা দেন টালিগঞ্জের তারকারাও। চলে দেদার মিষ্টিমুখ। কে নেই সেই তালিকায়! বিধায়ক, অভিনেত্রী জুন মালিয়া, সাংসদ নুসরত জাহান, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রণিতা দাস, সৌমিতৃষা কুণ্ডু, তৃণা সাহা, তনুশ্রী এবং যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।
ভাইফোঁটার পর্ব মিটলে সায়নী-তনুশ্রী-সায়ন্তিকারা আবাসিকদের সঙ্গে মেতে ওঠেন নাচে- গানে। বৃদ্ধারা কে কেমন আছেন খোঁজ নেন তাঁরা। নাচের আসরে সকলের সঙ্গে পা মেলান অরূপ বিশ্বাসও। সবকিছু ভুলে তখন শুধুই আনন্দ। বেলা তিনটে নাগাদ এই পর্ব শেষ হলে একসঙ্গে খেতে বসেন সকলে। মন্ত্রী নিজে তাঁদের পরিবেশন করেন। আসছে বছর আবার হবে, একথা বলে খাওয়া শেষ হলে সকলের সঙ্গে কুশল বিনিময় সেরে বৃদ্ধারা বিশ্রামে চলে যান। অরূপ বলেন, আমাদের নেত্রী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রতি বছর এখানে ভাইফোঁটার আয়োজন করি। আমি নিজেও সারা বছর এই দিনটার অপেক্ষায় থাকি। এই মায়েদের আশীর্বাদ আমার চলার পথের পাথেয়। তাঁদের খাবার পরিবেশন করে আমি তৃপ্তি পাই। সকলে সুস্থ থাকুন, এই প্রার্থনাই করি।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের সব জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য নেতৃত্বও।