নবান্নের হস্তক্ষেপ, বিধায়কের উদ্যোগে ২ কোটিতে সিংহদুয়ার সংস্কার

জমি জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী মহিষাদল রাজবাড়ির সিংহদুয়ার ওরফে রঙ্গিবসান প্যালেস সংস্কারের কাজ।

Must read

তুহিনশুভ্র আগুয়ান, মহিষাদল: জমি জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী মহিষাদল রাজবাড়ির সিংহদুয়ার ওরফে রঙ্গিবসান প্যালেস সংস্কারের কাজ। অবশেষে নবান্নের হস্তক্ষেপে মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর উদ্যোগে জানুয়ারি মাসে শুরু হল সিংহদুয়ার সংস্কারের কাজ। ইতিমধ্যে সংস্কারের জন্য রাজ্যের হেরিটেজ কমিশন পূর্ত দফতরের মাধ্যমে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তবে ঢিলেমি না করে দ্রুতগতিতে সংস্কার হোক, এমনটাই চাইছেন মহিষাদল রাজ পরিবারের সদস্যরা। উল্লেখ্য, মহিষাদল রাজবাড়ির এই সিংহদুয়ার প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল এটি। এই পরিস্থিতিতে ২০১৫ সালে সিংহদুয়ার সংস্কারে ৬ কোটি ৩১ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। সেই টাকায় রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তত্ত্বাবধানে রাজ্য পুরাতত্ত্ব বিভাগ ২০১৭ সালে সংস্কারের কাজ শুরু করে। তবে এর মাঝে দু’বার ঠিকাদার বদল হয়।

আরও পড়ুন-সিতাইয়ে বিধানসভাভিত্তিক কর্মিসভা, ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক নেতাদের

এছাড়াও করোনার সময় দু’বছর সংস্কারকাজ সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এমন সময় প্রবল বর্ষায় দফায় দফায় বেশ কয়েকবার ভেঙে পড়ে সিংহদুয়ারের সামনের বেশ কিছু অংশ। এরপর দ্রুত সংস্কারের জন্য জেলা প্রশাসন ও রাজ্য প্রশাসনের কাছে একাধিকবার আবেদন জানান মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। তবে দ্বিতীয় দফার জমি জটিলতার কারণে থমকে যায় কাজ। সিংহদুয়ার যে জায়গায় অবস্থিত সেটি বর্তমানে মহিষাদল রাজবাড়ির ব্যক্তিগত সম্পত্তি। ফলে ব্যক্তিগত জায়গায় কেন সরকার অর্থ খরচ করবে তা নিয়ে অডিটে প্রশ্ন ওঠে। মহিলাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী কীভাবে জটিলতা কাটিয়ে পুরনো স্থাপত্য সংস্কার করা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেন। নবান্নে সংশ্লিষ্ট দফতরের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে রাজ পরিবারের সদস্যকে নিয়ে নবান্নে গিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। হেরিটেজ কমিশনের প্রতিনিধিরা সিংহদুয়ারের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখেন। এরপর রাজ পরিবারের সঙ্গে রফাসূত্র বের করে জানুয়ারি থেকে শুরু হয় সংস্কার। বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী জানান, ‍‘আন্ডারটেকিং দিয়ে ওই জমিতে বর্তমানে সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে ২ কোটি টাকা এর জন্য হেরিটেজ কমিশন পূর্ত দফতরকে দিচ্ছে। আমরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই সিংহদুয়ার আগের রূপে ফিরে আসবে।’ উল্লেখ্য, এটি ১৮০৯ সালে ইউরোপীয় স্থাপত্যরীতির ধাঁচে গড়ে ওঠে রাজা জগন্নাথ গর্গ ও রানি ইন্দ্রাণী দেবীর সময়। যা রঙ্গিবসান প্যালেস হিসেবেও পরিচিত।

Latest article