প্রতিবেদন : বিপুল পরিমাণ খরচে যেভাবে বিলাসবহুল নতুন সংসদ ভবন গড়ে তোলা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গ তুলে বাংলার বকেয়ার কথা কেন্দ্রকে স্মরণ করাল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিনই এই নিয়ে মোদি সরকারকে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। বলা হয়েছে, কাজ করার পরেও গরিব শ্রমিকদের মজুরির টাকা বকেয়া রাখা হয়েছে অথচ এই বিপুল পরিমাণ খরচে নতুন সংসদ ভবন নির্মাণে অর্থের কার্পণ্য নেই! এই দ্বিচারিতায় সরকারের কী মানসিকতা ফুটে উঠছে? দেশের দরিদ্র জনগণের প্রাপ্য টাকা আটকে বৈভবের পিছনে অর্থ খরচের যৌক্তিকতা কী? সরকারের এই মনোভাবে কি সংসদীয় গণতন্ত্রের ছবি উজ্জ্বল হবে?
আরও পড়ুন-ফাঁসির সাজা নিয়ে কী রয়েছে নতুন বিলে?
তৃণমূলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কথা বললেও রাজনৈতিক কারণে সব থেকে বঞ্চিত করা হয় পশ্চিমবঙ্গকে। তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার রাজ্যের শ্রমিকদের একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকার কী হবে, আবাস যোজনার টাকা কোথা থেকে আসবে? এই ঝাঁ- চকচকে ব্যাপার, গালিচার মধ্যে পা গলে যাচ্ছে। সেই বিপুল পরিমাণ অর্থ মনরেগার শ্রমিকদের দিলে তাঁরা তো খেয়ে পরে বাঁচতেন! আমি তো ভাবতেই পারছি না, কীভাবে বাংলার দরিদ্র, নিরন্ন মানুষের সামনে বলব যে, দিল্লিতে একটি ঝাঁ-চকচকে পাঁচতারা সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস বলেছে, মোদি নিজের আত্মপ্রচারে এতটাই মগ্ন যে নতুন সংসদ ভবনের লোকসভার স্পিকারের জন্য আলাদা কোনও গেট নেই।
আরও পড়ুন-সুপার সিক্সে আজ মিনি ডার্বি
তিনটে গেট, একটা গেট দিয়ে ঢুকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দ্বিতীয় গেট দিয়ে ঢুকবেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় এবং তৃতীয় গেট দিয়ে ঢুকবেন বাকি সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদ মালা রায় বলেন, নতুন সংসদ ভবনের পুরোটাই কর্পোরেট কায়দায় তৈরি করা হয়েছে। কোথাও যেন প্রাণ নেই। অর্থনৈতিকভাবে দেশ যখন মজবুত জায়গায় নেই তখন নতুন সংসদ ভবন দু’বছর পরে করলেও কোনও অসুবিধা ছিল না।