অমৃত ভারতের নামে মোদি আসলে চান আদানি ভারত, বর্বর রেলের উচ্ছেদ নোটিশে ক্ষুব্ধ মানুষ

তখনও সাধারণ মানুষ থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা গণআন্দোলনের মাধ্যমে সেই উচ্ছেদ রুখে দেন। তাঁদের চাপে পিছু হঠতে বাধ্য হন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

Must read

সংবাদদাতা, রামপুরহাট : রামপুরহাট পুরসভার ১৪ নং ওয়ার্ড তথা রেলপাড় সবজি বাজারে রেলওয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফে উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ। নোটিশে বলা হয়েছে যে চলতি বছরের ১৪ জুনের মধ্যে রেলপাড় সবজি বাজার থেকে সমস্ত মালপত্র সরিয়ে নিতে হবে। নচেৎ ১৫ জুন উচ্ছেদের সময় কোনও মালপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হলে তার দায়ভার নেবে না রেল কর্তৃপক্ষ। গত বছর ২৩ ডিসেম্বর একইভাবে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তখনও সাধারণ মানুষ থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা গণআন্দোলনের মাধ্যমে সেই উচ্ছেদ রুখে দেন। তাঁদের চাপে পিছু হঠতে বাধ্য হন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন-পূর্ব বর্ধমানে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৩৭ কোটির বেশি বরাদ্দ

প্রসঙ্গত, রেলপাড়ের এই বাজারে তেলেভাজা, খাবার, মিষ্টি, মাংস থেকে সবজি ও ফলের দোকান ইত্যাদিও আছে। এই সব দোকানের সামান্য আয় থেকেই ছোট ব্যবসায়ীদের সংসার চলে। ফলে নোটিশ পাওয়ার পর থেকেই এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। চা-বিক্রেতা পিন্টু দাস, সেলুনের মালিক জিতেন ঠাকুর, মোবাইল সারাই মিস্ত্রি নজরুল আনসারি, মুরগির মাংসবিক্রেতা জহির শেখরা একযোগে জানান, এই উচ্ছেদ হলে আমাদের সংসার ভেসে যাবে। আমরা হাজার হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ব। আমাদের জীবনজীবিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের রেল ছিনিমিনি খেলছে। সরকার তৈরি করেছে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ। অথচ মানুষের পেটেই লাথি মারতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী হলে, তাদের মুখের খাবার কেড়ে নিতে চাইলে এই সরকারের দরকার কী? বুধবার রেলপাড় বাজারে রেল কর্তৃপক্ষ যে উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছেন তাতে প্রমাণিত, রেলের জায়গা খালি করে আদানির হাতে তুলে দিয়ে মোদি অমৃত ভারতের নামে আসলে আদানি ভারত প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। ১৫ জুন মানুষই আগের মতোই আন্দোলনের মাধ্যমে এই উচ্ছেদ রুখবে।

Latest article