শুরুতেই বিরাট হোঁচট। মাত্র তিনদিন আগেই বহু ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করেছিলেন বিলাসবহুল প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাসের। পরিকাঠামো তৈরি না করেই প্রচারসর্বস্ব প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেন ওই প্রমোদতরীর। তার ফলে যাত্রার শুরুর তিনদিনের মধ্যেই বড় সমস্যায় পড়লেন গঙ্গা বিলাসের পর্যটকরা। সোমবার বিহারের ছাপরায় গঙ্গার অগভীর জলে পলির মধ্যে আটকে গিয়েছিল এই প্রমোদতরী। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বন্দর ও জাহাজ মন্ত্রকের তরফে গঙ্গা বিলাসের আটকে যাওয়ার খবর অস্বীকার করা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রী বলেন, বিহারের ছাপরায় গঙ্গা বিলাস আটকে গিয়েছে এই খবর ঠিক নয়। বরং নির্দিষ্ট সময়ে এই প্রমোদতরী পাটনায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন-ভোটের লক্ষ্যে কৌশল বিজেপির
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এদিন বিহারের চিরান্দে যাত্রীদের নামানোর জন্য আসছিল গঙ্গা বিলাস। কিন্তু জল কম থাকায় মাঝগঙ্গাতেই পলির মধ্যে হঠাৎ আটকে যায়। খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ওই প্রমোদতরীতে আটকে থাকা যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। এই বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে ভ্রমণের জন্য বিপুল অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। একজন ভারতীয় নাগরিককে একদিনের জন্য খরচ করতে হবে ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু তারপরেও এ ধরনের সমস্যা কীভাবে হয় তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ছাপরা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, গঙ্গার ওই অংশে জল যথেষ্ট কম ছিল। সে কারণেই গঙ্গা বিলাস আটকে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন-বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ? কেন্দ্রের মত জানতে চাইল শীর্ষ আদালত
গত ১৩ জানুয়ারি বেনারসে গঙ্গা বিলাসের উদ্বোধন করেন মোদি। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ হয়ে গঙ্গা বিলাস ডিব্রুগড়ে পৌঁছবে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য আগেই দাবি করেছিলেন, গঙ্গার নাব্যতা বেশ কম। তাই সেখানে এই প্রমোদতরীটি আদৌ ভাসতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের সেই আশঙ্কা তিনদিনের মাথাতেই সত্যি হল। উল্লেখ্য, এর আগে এভাবেই পরিকাঠামো তৈরি না করে মোদি উদ্বোধন করেছিলেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। তাই পথচলা শুরু করেই বারবার হোঁচট খায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।