প্রতিবেদন : এবার দেশের ইতিহাস বদলের দাবি তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর ব্যাখ্যা, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে মুঘল নায়করাই গুরুত্ব পেয়ে থাকেন। অথচ দেশে বহু বীর নারী, পুরুষ রয়েছেন। তাঁরা আদৌ সেভাবে গুরুত্ব পান না। ঔপনিবেশিক আমলের ষড়যন্ত্রের কারণেই এটা হয়েছে। আমাদের এই ভুল সংশোধন করতে হবে। গুজরাত নির্বাচনের আগে মোদি তাঁর এই বক্তব্যের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার তাস খেলার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ মুঘল শাসকরা মুসলিম সম্প্রদায়ের। অন্যদিকে দেশীয় বীররা অনেকেই সংখ্যাগুরু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।
আরও পড়ুন-সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে কেন্দ্রের মত জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট
অসমের নায়ক লাচিত বারফুকানের ৪০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক বছর ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বছরব্যাপী উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে শুক্রবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবন থেকে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেন। মোদি বলেন, ভারতের ইতিহাস শুধুমাত্র দাসত্বের নয়। ভারতের উজ্জ্বল ইতিহাসে বহু যোদ্ধাও রয়েছেন। দেশের ইতিহাস যোদ্ধাদের ইতিহাস, বিজয়ের ইতিহাস, আত্মত্যাগ, নিঃস্বার্থতা ও বীরত্বের ইতিহাস। তবে ইতিহাসের পাতায় সকলের নাম নেই। ঔপনিবেশিক আমলের ষড়যন্ত্রের কারণেই ইতিহাসের পাতা থেকে ওই সব বীরদের কথা হারিয়ে গিয়েছে। বিদেশি শাসকরা ইচ্ছা করেই ভারতের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়কে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিয়েছিল। স্বাধীনতার পরও সেই একই ইতিহাস পড়ানো হচ্ছে। ঔপনিবেশিক আমলের সেই ষড়যন্ত্র উড়িয়ে দিয়ে স্বাধীনতার পর দাসত্বের ইতিহাস পরিবর্তন করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটা করা হয়নি। বর্তমানে দেশ তার বীরদের স্মরণ করার মাধ্যমে অতীতের সেই ভুল সংশোধন করেছে।