প্রতিবেদন: প্রথমে ছিল ৬, পরে হয়েছিল ১২৷ এর পরে একলাফে সাতগুণ বেড়ে বৃহস্পতিবার দেশের ৮৫টি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ বেনজির ঘটনার জেরে বিমান পরিষেবা নিয়ে কার্যত নাজেহাল হয়ে পড়েছে মোদি সরকার৷ কে বা কারা এইভাবে দেশের অন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রুটের বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়াচ্ছে, তার কোনও কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতর ইতিমধ্যেই ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানো নিয়ে কড়া আইন প্রণয়নের কথা শুনিয়েছে। এদিকে নয়াদিল্লিতে এক সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, অত্যন্ত মেধাবী ও টেকস্যাভি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের একটি দল এই ভাবে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর মূল কুশীলব৷ এরা বিমান পরিষেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অস্থিরতা তৈরি করে আতঙ্ক ছড়াতে চায়। এই সূত্র পেয়ে সন্দেহভাজন গোষ্ঠীর সন্ধানে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ৷ তাদের সহযোগিতায় আছেন কেন্দ্রীয় সাইবার বিশেষজ্ঞরা৷ সরকারি সূত্রের দাবি, যে আইপি অ্যাড্রেস থেকে ভুয়ো বোমাতঙ্কের ইমেল বা মেসেজ পাঠানো হচ্ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল, সেই ঠিকানাও শেষ পর্যন্ত ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়েছে৷ পুরো ঘটনার পিছনে আছে পাকা মাথা এবং প্রক্সি সার্ভার, এটা বোঝার পরে আরও বেশি চাপে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷
আরও পড়ুন-রেল দুর্ঘটনা নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার কেন্দ্রের
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যাত্রীদের উদ্বেগ দূর করে কীভাবে পরিষেবা সচল রাখা যায় তা নিয়ে প্রতিদিনই বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী ও দিল্লি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷ তারপরেও সমস্যার কোনও সমাধান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ এদিকে সামনেই দীপাবলি উৎসব৷ উত্সবের মরশুমে সারা দেশের বিভিন্ন রুটের বিমানে এইভাবে ভুয়ো বোমাতঙ্কের সমস্যা শুধু যে সাধারণ যাত্রীদের সমস্যায় ফেলছে তা নয়, একইসঙ্গে প্রবল চাপ বাড়ছে মোদি সরকারের উপরেও৷