যুক্তরাষ্ট্রীয় ভাবনার কণ্ঠচ্ছেদ করছে মোদি

যুক্তরাষ্ট্রীয় ভাবনার কণ্ঠচ্ছেদ করছে সেস। সেস বাবদ সংগৃহীত অর্থের ১০০ শতাংশই চলে যাচ্ছে কেন্দ্রের ঘরে। একটা টাকাও দেওয়া হচ্ছে না রাজ্যকে।

Must read

প্রতিবেদন: যুক্তরাষ্ট্রীয় ভাবনার কণ্ঠচ্ছেদ করছে সেস। সেস বাবদ সংগৃহীত অর্থের ১০০ শতাংশই চলে যাচ্ছে কেন্দ্রের ঘরে। একটা টাকাও দেওয়া হচ্ছে না রাজ্যকে। সেস নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকাকে এই ভাষাতেই ফের তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। রীতিমতো তথ্য এবং পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূল প্রমাণ করেছে কতটা নির্লজ্জভাবে রাজ্যগুলোকে ঠকাচ্ছে মোদি সরকার।
তথ্যের দাবি, ২০১২ সালে কেন্দ্রের মোট রাজস্বের ৭ শতাংশ এসেছিল সেস বাবদ। ২০২৫ সালে কেন্দ্রের মোট রাজস্বের প্রায় ২০ শতাংশেরই উৎস এই সেস। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল, এত বিশাল অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রের কোষাগারে ঢুকলেও ২০১৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সেস এবং সারচার্জ বাবদ আদায়কৃত ৫.৭ লক্ষ কোটি টাকাই এখনও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অথচ রাজ্যগুলোকে বঞ্চনা করেই চলেছে কেন্দ্র। ডেরেকের যুক্তি, ২২টি রাজ্য, এমনকী বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোও ষষ্ঠদশ অর্থ কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে, করবাবদ আদায় করা অর্থের একটা বড় অংশ দেওয়া হোক রাজ্যগুলোকে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০১৫ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে সেসের অঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৬২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যা দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।

আরও পড়ুন-ধরনায়-বিক্ষোভে উত্তাল ধর্মতলা চত্বর

এই প্রসঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অমিত মিত্রের মতামতকেও তুলে ধরেছেন ডেরেক। তাঁর কথায় জিএসটির সংস্কার তখনই যু্ক্তিসঙ্গত, যখন তা সাধারণ মানুষের স্বার্থরক্ষা করবে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, জিএসটির অর্থ কীভাবে রাজস্ব বাবদ রাজ্যগুলির মধ্যে বণ্টিত হবে। সবচেয়ে বড় কথা, কেন্দ্রের রাজস্ব সচিবদের দাবি, রাজস্বের ক্ষতির অঙ্ক দাঁড়াবে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সাপ্লাই চেনের উল্লেখ তিনি আদৌ করেননি। সব মিলিয়ে আসলে খতির অঙ্কটা দাঁড়াবে ১ লক্ষ কোটি টাকার উপরে।

Latest article