প্রতিবেদন : ফের একবার প্রমাণ হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মিথ্যাচার। নরেন্দ্র মোদি সত্যাগ্রহে অংশ নিয়েছিলেন এবং সে কারণে জেল খেটেছিলেন এরকম কোনও তথ্য নেই। তথ্য জানার অধিকার আইনে করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। যদিও মোদি দাবি করেছিলেন, সত্যাগ্রহে অংশ নিয়ে তিনি জেলে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-সাতমাস মেলেনি বেতন, বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন বিজেপি রাজ্যের সাত শ্রমিক
২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা গিয়ে মোদি দাবি করেছিলেন, তিনি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সমর্থনে সত্যাগ্রহে অংশ নিয়েছিলেন এবং তার জন্য জেলও গিয়েছিলেন। দ্য ওয়্যার–এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, আরটিআইয়ের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় জানিয়েছে, সত্যাগ্রহ আন্দোলনে নরেন্দ্র মোদির অংশ নেওয়া, জেল খাটা ও মুক্তির বিষয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।
আরও পড়ুন-বাঙালির ফুটবল আর দুর্গাপুজো দুটোই তুলনাহীন, অকপট সৌরভ
যদিও বাংলাদেশে নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তাঁর জীবনে প্রথম আন্দোলনগুলির অন্যতম হল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। তখন তাঁর বয়স ২০-২২। তিনি ও তাঁর বন্ধুরা ভারতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সত্যাগ্রহে শামিল হয়েছিলেন। সে জন্য তাঁর জেলে যাওয়ারও সৌভাগ্য হয়েছিল।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ঐতিহাসিক শোভাযাত্রা মহানগরের বুকে, দুর্গাপুজোর বিশ্বায়ন
সেই সময় মোদির ওই দাবির সত্যতা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন। আগেও মোদির এ ধরনের বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। মোদির ওই দাবির পরই জয়েশ গুরনানি নামে এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে আরটিআই করেন। গুরনানি নির্দিষ্টভাবে পাঁচটি বিষয়ে তথ্য চেয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট থানায় দায়ের করা এফআইআর, গ্রেফতারের মেমো বা প্রাসঙ্গিক নথি, জেল থেকে তাঁর মুক্তির নথি এবং যে জেলে তাঁকে রাখা হয়েছিল সেই জেলের নাম। কিন্তু মোদির ওই বক্তব্যের সমর্থনে কোনও তথ্য নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছে তাঁরই সচিবালয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রমাণ হল, বিদেশে গিয়ে নিজের ভাবমূর্তি নির্মাণের স্বার্থে নির্জলা মিথ্যে বলেছেন নরেন্দ্র মোদি৷ আর তা ফাঁস করে দিল প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ই৷