প্রতিবেদন : গত ৯ বছরে এই প্রথম কোনও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ মঙ্গলবার এক দফার ভোট হবে মিজোরামে। এবারের বিধানসভা ভোট যেমন একদিকে বিজেপির জন্য কঠিন পরীক্ষা, অন্যদিকে কংগ্রেসের ‘টার্গেট’ পুনরুদ্ধার।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালরা কি ভুলে গেলেন তাঁরা আদৌ নির্বাচিত নন? কড়া ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
মিজোরামের বিধানসভা ভোটে এবার শুরু থেকেই ছায়া ফেলেছিল মণিপুর। মে মাস থেকে শুরু হওয়া জাতি-সংঘর্ষে এখনও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বিজেপি-শাসিত মণিপুরের। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের হাতে আক্রান্ত কুকি সম্প্রদায়ের বহু মানুষের যোগ রয়েছে মিজোরামের সঙ্গে। অশান্ত মণিপুর থেকে বহু শরণার্থী পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মিজোরামে। মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর ধারাবাহিক নীরবতা ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ মিজোরামবাসী। মানুষের ক্ষোভের আঁচ পেয়েই শেষ মুহূর্তে মিজোরামে নির্বাচনী প্রচার বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন-শুরু হল উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা বজায় রেখেই কাউন্সেলিং
পাশাপাশি মিজোরামকে ‘অচ্ছুত’ রেখেছেন অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডাও। বিজেপির শীর্ষ নেতাদের এই এড়িয়ে চলা মনোভাবই বুঝিয়ে দিচ্ছে এবারের বিধানসভা ভোটে এখানে চাপে বিজেপি। মণিপুরে লাগাতার হিংসার আবহে মিজোরামের আজকের ভোটের দিকে নজর দেশবাসীর। একইসঙ্গে জমি পুনরুদ্ধারে তৎপর কংগ্রেস। নির্বাচনী ইতিহাস মেনে মিজোরামে যেভাবে প্রতিবছর সরকার পাল্টায় সেই ধারা অব্যাহত থাকলে এবার ক্ষমতায় ফেরার কথা কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন-‘আমার প্রচার চাই না’ বিজয়া সম্মিলনী থেকে কেন্দ্রকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
৪০ আসনের বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ২১। যুযুধান প্রধান তিন দল : শাসক মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট, প্রধান বিরোধী জোরাম পিপলস মুভমেন্ট ও প্রাক্তন শাসক দল কংগ্রেস সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপি লড়ছে ২৩টিতে। সব মিলিয়ে ১,২৭৬টি বুথে ১৭৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ৮ লক্ষ ৫২ হাজার ভোট দাতা।