প্রতিবেদন : শেয়ার বাজার নিয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন মোদি-শাহ। দুর্নীতি হয়েছে ব্যাপক। হয়েছে কারচুপিও। গেরুয়া শিবিরের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলে এই কেলেঙ্কারির তদন্ত দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবিকে চিঠি দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেল। নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগে ভুয়ো এক্সিট পোল বানিয়ে দেশের মানুষকে টাকা বিনিয়োগের বার্তা দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। আর ফল ঘোষণার দিন শেয়ার বাজারের সূচক তরতরিয়ে পড়ে যাওয়ায় বিরাট দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। শেয়ার বাজারে রেকর্ড সূচক পতনে একদিনে প্রায় ৩০ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দেশবাসীর। দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে শেয়ারে টাকা বিনিয়োগ করিয়ে মানুষের ব্যাপক ক্ষতি করেছেন মোদি-শাহ। এই ঘটনায় ফের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির তদন্তের দাবি তুললেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখেল। মঙ্গলবার এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সেবির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন গোখেল। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, মোদি-শাহের বিবৃতি সেবি (বিনিয়োগ পরামর্শদাতা) প্রবিধান, ২০১৩-এর অধীনে বেআইনি বিনিয়োগ পরামর্শ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত। সত্যি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত এই কেলেঙ্কারির তদন্ত হবে।
আরও পড়ুন-জামাইষষ্ঠীতে নেই টাটকা ইলিশ, ভরসা স্টোরেজের মাছেই
দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে চূড়ান্ত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনেক আগেই থমকে গিয়েছে মোদি-শাহের ঠেলাগাড়ি। কিন্তু এক্সিট পোলে দেখানো হয়েছিল, রেকর্ড ভোট পেতে চলেছে বিজেপি এবং এনডিএ। দেশের মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে শেয়ার মার্কেটে টাকা বিনিয়োগ করার উপদেশ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ। ৪ জুন গণনা শুরু হতেই শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস নামে। পরের দিনই এই নিয়ে সেবিকে চিঠি পাঠিয়ে তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখেল দাবি করেন, ভুয়ো বুথ ফেরত সমীক্ষার মাধ্যমে কারসাজি করে শেয়ার বাজারের সূচককে তোলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে তদন্ত প্রয়োজন। নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে মানুষকে শেয়ারে বিনিয়োগ করতে বলেছিলেন মোদি-শাহ। তাঁদের এই মন্তব্যের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে কোনও কারচুপি হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখতে হবে।